নীতীশ আমাদের সঙ্গেই, জানালেন শাহ
মহাজোট ছেড়ে নীতীশ কুমার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর বৃহস্পতিবারই প্রথম তাঁর মুখোমুখি হন শাহ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিহারের ৪০টি লোকসভা আসনেই বিজেপি এবং জেডিইউ একজোট হয়ে লড়বে। নীতিশ কুমারের সঙ্গে প্রাথমিক বৈঠক সেরে এ কথা জানিয়ে দিলেন বিজেপি-র কেন্দ্রীয় সভাপতি অমিত শাহ। আসন রফাকে কেন্দ্র করে বিজেপি-জেডিইউ জোট এবার ইতি হতে চলেছে, ক্রমশ বাড়তে থাকা এই জল্পনাকে থামিয়ে দিয়ে আজ এই ঘোষণা করেন অমিত শাহ।
মহাজোট ছেড়ে নীতীশ কুমার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর বৃহস্পতিবারই প্রথম তাঁর মুখোমুখি হন শাহ। এদিন দুই নেতাই প্রাতঃরাশ সারতে সারতে মিনিট পঁয়তাল্লিশের বৈঠকে বসেন এবং বৃহস্পতিবার নৈশভোজেও তাঁদের আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। সকালের বৈঠকে অমিত-নীতীশ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুশীল মোদী এবং রাজ্য বিজেপি সভাপতি নিত্যানন্দ রাই।
বিগত কয়েক মাস ধরে বিজেপি ও জেডিইউ উভয় দলেরই রাজ্যস্তরের নেতারা লোকসভা নির্বাচনের আসন রফা নিয়ে শানিত বক্তব্য পেশ করছিল। দুই দলই নিজেদের 'বড়ভাই' বলে দাবি করছিল। এরপর গত সপ্তাহে স্বয়ং নীতীশই জানিয়ে দেন, বিজেপি কত সংখ্যক আসন ছাড়তে চায় সেটা জেনে নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে তাঁর দল। এরমধ্যেই আবার নীতীশ ফোন করেন লালুকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই জল্পনা আরও বাড়তে থাকে। শোনা যায়, বিহারে লালুর দলের বর্তমান জোটসঙ্গী কংগ্রেস বিজেপি-র হাত ছাড়ার শর্তে নীতীশকে ‘ঘরে ফেরানোর’ ইঙ্গিত দিয়েছে। তবে, নীতীশ কুমার নিজে এই জল্পনায় জল ঢেলে জানিয়ে দেন, লালুর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতেই ফোন করেছিলেন তিনি। আরও পড়ুন- মমতার ডাকে সাড়া দিলেন না ইয়েচুরি
একদিকে, চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি এনডিএ ছেড়েছে। অন্যদিকে, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনাও যথেষ্ট ‘দুশ্চিন্তায় রেখেছে’ পদ্ম ব্রিগেডকে। এমতাবস্থায় নীতীশকে পাশে পাওয়া বিজেপির কাছে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ফলে পাটনার দ্রুত বদলাতে থাকা সমীকরণ দেখে আর ঝুঁকি নিতে চাননি বিজেপি-র চাণক্য। অবস্থা হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই তাই রীতিমতো তড়িঘড়ি পাটনার বিমান ধরেন শাহ। এরপর এদিন সকালে নীতীশের সঙ্গে বৈঠক সেরে হাসিমুখে চিত্রসাংবাদিকদের সামনে দাঁড়িয়েছেন দুই নেতাই। এরপর দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে শাহ জানিয়ে দেন, জেডিইউ-এর সঙ্গে তাঁদের কোনও মতভেদ নেই এবং আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দুই দলই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়বে।