নিজস্ব প্রতিবেদন: রাফাল মামলায় মোদী সরকারকে বড় স্বস্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার সর্বোচ্চ আদালত বিরোধীদের আনা অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে জানিয়েছে রাফাল চুক্তিতে কোনও পক্ষপাত করেনি মোদী সরকার। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ফরাসি সংস্থা দাসোঁর কাছ থেকে ৫৯,০০০ কোটি টাকায় ৩৬টি রাফাল জঙ্গিবিমান কেনায় পক্ষপাতিত্ব হয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। রাফাল চুক্তি প্রকাশ্যে আনা উচিত বলে আদালতে সরব হয়েছিল তারা। প্রতিটি বিমানের দাম কত তাও জানতে চেয়েছিল আবেদনকারীরা। এই সংক্রান্ত যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, এব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবে না তারা। 



এদিন প্রধান বিচাপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, রাফাল চুক্তিতে কোনও বেনিয়ম খুঁজে পায়নি আদালত। বিমানের দাম কত তা তদন্তের দায়িত্ব সুপ্রিম কোর্টের নয়। কয়েকজনের অনুমানের ওপর ভিত্তি হয়েছে আমরা বেনিয়ম হয়েছে বলে মেনে নিতে পারি না। এই চুক্তিতে কোথাও কোনও বেনিয়ম বা প্রতারণা হয়নি। বিমানের মানের সঙ্গে আপস করা হয়েছে এমন কোনও প্রমাণও মেলেনি। দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে ভাল বিমানের প্রয়োজন। তাহলে এত কথা উঠছে কেন? 


রাফাল চুক্তিতে বেনিয়মের দাবি করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আইনজীবী এমএল শর্মা ও বিনীত চড্ডা। একটি বেসরকারি সংস্থার পক্ষেও আদালতে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। রাফাল চুক্তি বাতিল করার দাবিতে সরব হয়েছিলেন অভিযোগকারীরা। 


তিন রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী বাছতে গিয়ে বেআব্রু কংগ্রেসের সেই পরিচিত গোষ্ঠীকোন্দল


সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাফালের দাম সংক্রান্ত তথ্য মুখবন্ধ খামে আদালতে পেশ করেছিল কেন্দ্র। ১৪ পাতার হলফনামায় কেন্দ্র জানিয়েছিল রাফালে চুক্তির সময় প্রতিরক্ষা সামগ্রী ক্রয় প্রক্রিয়া ২০১৩-র নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছে সরকার। 



রায়ের পর বিরোধীদের আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ বলেন, এই রায়ে আমরা খুশি নই। রায়ে ভুল আছে। আমরা রাফাল চুক্তির তদন্তের দাবি জানিয়েছিলাম। আদালত আমাদের কোনও কথাই শোনেনি। রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানোর ব্যাপারে আমরা বিবেচনা করব। এই রায়ে আমাদের আন্দোলন থামবে না। 


বিশেষজ্ঞদের মতে, পাঁচ রাজ্যে ভোটে হারের পর সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে বেশ চাপে পড়েছিল সরকার। রাফাল নিয়ে সরকারকে সংসদে আক্রমণের রণনীতিও সাজিয়ে ফেলেছিল বিরোধীরা। এদিনের রায়ে মোদী বেশ খানিকটা স্বস্তি পাবেন বলে মনে করছেন তাঁরা।