নিজস্ব প্রতিবেদন: বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনেই লোকসভায় মোদী সরকারের বিরুদ্ধে কংগ্রেস ও তেলেগু দেশম পার্টির (টিডিপি) তোলা অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ করলেন অধ্যক্ষ সুমিত্রা মহাজন। মঙ্গলবারই লোকসভার সেক্রেটারি জেনারেলের কাছে অনাস্থা প্রস্তাবের নোটিশ জমা দিয়ে বিষয়টিকে বুধবারের কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন জানিয়েছিল টিডিপি। এদিন সেই প্রস্তাবই গ্রহণ করলেন স্পিকার। প্রাথমিকভাবে অনাস্থার প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছিলেন সুমিত্রা মহাজন। এই মুহূর্তে সংসদের উভয় কক্ষে চলছে তুমুল বিতর্ক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আজ বুধাবার থেকে সংসদে বাদল অধিবেশন শুরু হয়েছে। এই অধিবেশনকে কেন্দ্র করে বিরোধী ঐক্য গড়ে তুলে মোদী সরকারকে কোণঠাসা করার পরিকল্পনা করছে কংগ্রেস-সহ ১২টি রাজনৈতিক দল। সংসদের উভয় কক্ষে সরকার পক্ষকে বেকায়দায় ফেলতে তৃণমূল কংগ্রেস ও তেলেগু দেশম পার্টি 'বড় ভূমিকা' নেবে বলেও শোনা যাচ্ছে। আগামী ১৮ দিন চলবে এই অধিবেশন। অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য বিশেষ মর্যাদা চেয়ে এদিন অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি এবং তাতে সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেস। অন্যদিকে, দেশ জুড়ে গণপিটুনির ঘটনা এবং তাতে কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসীনতার বিরুদ্ধে সরব হবে তৃণমূল। রাজ্যসভায় জিরো আওয়ারে এ বিষয়ে বিতর্ক চেয়ে আগাম নোটিস দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।


শুধু তৃণমূল বা টিডিপি-ই নয় কংগ্রেসও একাধিক ইস্যুতে সরকারকে জেরবার করতে চায়। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে জানিয়েছেন, অন্ধ্রপ্রদেশের বিশেষ স্বীকৃতি, নারী নিরাপত্তা, গণপিটুনি, তপশিলি জাতি-উপজাতি আইন, কৃষকদের করুণ অবস্থা, উপত্যকায় কুশাসনের মতো বিষয় নিয়ে সরব হবে তাঁর দল। সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের সম্পদ বৃদ্ধি ও নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েও এদিন সুর চড়িয়েছেন খাড়গে। তাঁর অভিযোগ, বিমুদ্রাকরণের সময় আমেদাবাদ জেলা কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে ৭৫০ কোটি টাকারও বেশি জমা পড়েছে! তাঁর দাবি, ওই ব্যঙ্কের ডিরেক্টর স্বয়ং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। আরও পড়ুন- আডবানী ঘনিষ্ঠ বিজেপি সাংসদ চন্দন মিত্রের দলত্যাগ!


তবে এই মুহূর্তে লোকসভায় একক সংখ্যা গরিষ্ঠ দল বিজেপি। এর পাশাপাশি, এনডিএ-র শরিকদের আসনও রয়েছে সরকারের অনুকুলে। ফলে, অনাস্থা এনে সরকারের পতন ঘটানো যে কোনও ভাবেই সম্ভব নয়, তা ভালোই জানে বিরোধীরা। তবু এই প্রস্তাব এনে সরকারকে কোণঠাসা করার সুবর্ণ সুযোগ তারা হাতছাড়া করতে চায়নি। এছাড়া, লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে এই সুযোগে বিরোধী দলগুলির মধ্যে বোঝাপড়া ফের গতি পেল বলেও মনে করা হচ্ছে।