ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে নেই বিদ্যুতের মিটার!
ওয়ালিয়ার আবেদনের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় পূর্ত দফতর জানায়, শুধু প্রধানমন্ত্রী আবাসই নয়, সংসদ ভবন এবং রাষ্ট্রপতি ভবনেও কোনও ইলেকট্রিক মিটার নেই। এইসব ভবনগুলির রক্ষণাবেক্ষণের ভার পূর্ত দফতরের হাতে থাকায়, তারাই সামগ্রিকভাবে এই বিল মেটায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ৭, লোক কল্যাণ মার্গ। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আবাস। কিন্তু, এই ঠিকানাতে কোনও ইলেকট্রিক মিটারও নেই এবং ঠিক কতটা বিদ্যুত্ খরচ হয়, তার হিসাবও নেই। অথচ প্রত্যাশিতভাবেই গোটা চত্বর আলোর রোশনাইয়ে ঝলমলে। সম্প্রতি তথ্যের অধিকার আইনে দায়ের হওয়া এক আবেদনের ভিত্তিতে এমনই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় পূর্ত দফতর।
গুরগাঁও-এর অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারি তথা বর্তমানে তথ্য কর্মী জগদীশ সিং ওয়ালিয়ার কাথায়, "কয়েক মাস আগে প্রধানমন্ত্রীকে একটি প্রচারমূলক ভিডিও-তে এলইডি আলো ব্যবহারের পক্ষে কথা বলতে শুনি। বলছিলেন, চিরাচরিত যেসব আলো আমরা ব্যবহার করি তা বদলে এলইডি আলো ব্যবহার করতে। এতে সাশ্রয় হয় বলে দাবি করে তিনি নিজেও যে এই আলো ব্যবহার করেন তা জানিয়েছিলেন নমো।" আর এরপরই এ বিষয়ে প্রকৃত তথ্য জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন ওয়ালিয়া।
ওয়ালিয়ার আবেদনের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় পূর্ত দফতর জানায়, শুধু প্রধানমন্ত্রী আবাসই নয়, সংসদ ভবন এবং রাষ্ট্রপতি ভবনেও কোনও ইলেকট্রিক মিটার নেই। এইসব ভবনগুলির রক্ষণাবেক্ষণের ভার পূর্ত দফতরের হাতে থাকায়, তারাই সামগ্রিকভাবে এই বিল মেটায়। আরও পড়ুন- জয়ললিতা সন্তানসম্ভবা হননি, হাইকোর্টে জানাল তামিলনাড়ু সরকার
প্রবীণ তথ্যকর্মী ওয়ালিয়ার দাবি, প্রধানমন্ত্রী যখন সাশ্রয়ের কথা বলেছেন, তখন সেখানে কত বিদ্যুতের বিল হয় সেটা জানা প্রয়োজনীয় বলে মনে হয়েছে। পাশাপাশি, আরও একটি আবেদন করেন এই তথ্যকর্মী। প্রধানমন্ত্রী নিবাসে চিরাচরিত আলো বদলে নতুন এলইডি আলো লাগাতে মোট কত খরচ হয়েছে সেই তথ্য জানতে চাওয়া হয় দ্বিতীয় আবেদনে। তবে, এই দ্বিতীয় আবেদনটির কোনও উত্তর দেয়নি কেন্দ্রীয় পূর্ত দফতর।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের জুন মাসে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের অফিসের বিদ্যুত্ বিল নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছিল। দুটি মিটার মিলিয়ে সে মাসে কেজরির অফিসের বিল এসেছিল ১.৩৫ লক্ষ টাকা। আরও পড়ুন- বাংলা-সহ দেশের কাছেও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গ্রহণযোগ্য মমতা: ডেরেক