নিজস্ব প্রতিবেদন: চূড়ান্ত ফয়সলা শুক্রবারও হল না। আস্থা ভোট হবে কিনা সিদ্ধান্ত হবে ফের সোমবার। কিন্তু এভাবে আর ক’দিন? প্রশ্ন তুলছে বিজেপি। তারা আরও সময় দিতে প্রস্তুত। জোট সরকার পরিস্থিতি কোন পর্যায় নিয়ে যেতে চায়, এখন সেটাই তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছেন ইয়েদুরাপ্পারা। হাতে ১০৭ বিধায়ক। অনায়াসে সরকার তৈরি করতে পারে বিজেপি। কিন্তু গত দু’দিন ধরে বিধান সৌধে যে নাটক চলছে, তা নজিরবিহীন বলে মত বিশেষজ্ঞদের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


গভর্নর বাজুভাই বালার দু’দুটি ‘লভ লেটার’ প্রত্যাখ্যান করলেন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী। গতকাল দুপুর দেড়টার মধ্যে আস্থাভোট করার নির্দেশ দেন রাজ্যপাল। যখন নির্ধারিত সময় পেরিয়ে আলোচনা চালিয়ে যান কংগ্রেস-জেডিএস-এর বিধায়করা, ফের আরও একটি নোটস গভর্নর জারি করেন। বলা হয়, দিনের শেষে আস্থা ভোটে যাওয়া উচিত সরকারের। তখন কুমারস্বামীর কটাক্ষ, দ্বিতীয় ‘লভ লেটার’ ভীষণ ব্যথিত করল। এর পর কুমারস্বামী তাঁর বক্তৃতায় বলেন, “ক্ষমতায় ১৪ মাস থাকার পর আজ চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছেছি। আপনার সরকার গড়তেই পারেন। সোমবার কিংবা মঙ্গলবার যে কোনও দিনই। একটু ধৈর্য ধরুন।” পালটা ইয়েদুরাপ্পাও জানান, তাঁরা ধৈর্য ধরতে রাজি। এক সপ্তাহ, দুই সপ্তাহ, কতদূর যেতে চায় ওরা। এ দিন কুমারস্বামীর অভিযোগ, বিধায়কদের বিপথে চালিত করতে ৪০-৫০ কোটি টাকা খরচ করেছে বিজেপি। যদিও প্রথম থেকেই এই অভিযোগ খারিজ করেছেন ইয়েদুরাপ্পারা। তবে, বিজেপির দাবি, সোমবারই শেষ দিন কুমারস্বামী সরকারের। এখন নয়া মোড় না নিলে হয়ত সেই পরিণতির দিকেই যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।


আরও পড়ুন- সোনভদ্রে যেতে বাধা প্রিয়ঙ্কাকে, দেখা করাতে নিহতদের পরিবারকেই আনা হল গেস্ট হাউসে


উল্লেখ্য, গত বছর কর্নাটক নির্বাচনের পর বিজেপিকেই সরকার গড়তে ডেকেছিলেন গভর্নর। কিন্তু সে সময় প্রয়োজনীয় সমর্থন জোগাড় করতে পারেননি ইয়েদুরাপ্পা। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট বিক্ষুব্ধ বিধায়কের ইস্তফাপত্র নিয়ে সিদ্ধান্ত স্পিকারের উপর ছেড়ে দেয়। তবে, প্রধান বিচারপতি বেঞ্জ জানায়, বিক্ষুব্ধ বিধায়কের উপর কোনও চাপ সৃষ্টি করা যাবে না। তাঁদের উপর হুইপও জারি করা যাবে না। এর ফলে আস্থা ভোট প্রমাণের সময় বিধানসভায় হাজির নাও থাকতে পারে ১৫ বিক্ষুব্ধ বিধায়ক। রামলিঙ্গ রেড্ডি নামে এক বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস বিধায়ক দলে ফিরে আসেন।


এই মুহূর্তে যদি ১৫ বিধায়কের ইস্তফাপত্র গৃহীত হয়, তাহলে জোট সরকারের হাতে ১০১ বিধায়ক থাকবে। বিজেপির হাতে রয়েছে ১০৫ বিধায়ক। পাশাপাশি, দুই নির্দল বিধায়কের সমর্থন পাবে  বিজেপি। ফলে ২২৪ আসনে ম্যাজিক ফিগার কমে দাঁড়াবে ১০৫। হিসেব মতো বিজেপির ক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ এখন সময়ের অপেক্ষা।