নিজস্ব প্রতিবেদন- বিজেপির আইনজীবী নেতা অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায় দিল্লি হাইকোর্টে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মাবলী বেঁধে দেওয়ার দাবিতে আর্জি জানিয়েছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, দেশে অবিলম্বে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন রয়েছ। আর তাই দুই সন্তান নীতির মতো নির্দেশিকা জারি করা উচিত আদালতের। কিন্তু দিল্লি হাইকোর্ট তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে। এর পরই অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্টে দরজায় টোকা দেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এই ব্যাপারে কেন্দ্রের পরিকল্পনা কী! সত্যিই কি কেন্দ্র দুই সন্তান নীতি চালু করার পক্ষে! জানতে চেয়েছিল শীর্ষ আদালত। কেন্দ্রের তরফে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দাখিল করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, কোনও দম্পতিকে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বাধ্য করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। পরিবার নিয়ন্ত্রণ একটি ঐচ্ছিক বিষয়। এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার যে কোনও দম্পতির রয়েছে। সেখানে কেন্দ্র কখনওই নাক গলাতে পারে না। কেন্দ্র যে এমন কোনও নীতি জোর করে দেশবাসীর উপর চাপিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে, সেটাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।


আরও পড়ুন-  বণিকসভায় চিন নিয়ে হতাশা ঝরে পড়ল ভারতের গলায়


কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, গত কয়েক বছরে ভারতে জন্মনিয়ন্ত্রণ হচ্ছে। আর সেটা কোনও নিয়ম-কানুন ছাড়াই চলছে। ভারতে জন্মহার নিম্নমুখী বলেও দাবি করেছে কেন্দ্র। সেইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টকে কেন্দ্র জানিয়েছে, জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য দেশবাসীর উপর কোনও নিয়ম চাপিয়ে দিলে তার কুপ্রভাব পড়তে পারে সার্বিকভাবে। কেন্দ্র বুঝিয়ে দিয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে দেশে জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো আইন চালু হচ্ছে না। যদিও বিজেপিশাসিত অসমে কিন্তু সামনের বছর থেকেই দুই সন্তান নীতি চালু হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।