ব্যুরো: ৩০ ডিসেম্বরের পর ব্যাঙ্ক এবং ATM থেকে টাকা তোলার উর্ধ্বসীমা উঠে যাচ্ছে। খোদ অর্থমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী এই আশ্বাস দিয়েছেন। তবে চাহিদা ও নতুন নোটের জোগানের মধ্যে ফারাক অনেকটাই। তাই কেন্দ্র আশ্বাস দিলেও, সংশয় কাটছে না আম জনতার। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 


একটা মাত্র ঘোষণা। তাতেই তোলপাড় কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। রাতারাতি বাতিল ৫০০, হাজারের নোট। ৮ নভেম্বরই টাকা তোলার ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেন প্রধানমন্ত্রী। ব্যাঙ্কে, ATM-এ দিনভর লাইন দিয়েও হতাশ আমজনতা। দিন শেষে টাকা পেলেও, ইচ্ছামত টাকা তোলার স্বাধীনতা কই।


 



নোটবন্দির গেরো


ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলার ঊর্ধ্বসীমা ২০,০০০ টাকায় বেধে দেওয়া হয়।


পরে ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে সপ্তাহে ২৪, ০০০ টাকা করা হয়। 


ATM থেকে দিনে টাকা তোলার ঊর্ধ্বসীমা ছিল ৪০০০টাকা।


পরে তা কমে ২০০০টাকা করা হয়।


এখন ATM থেকে দিনে সর্বোচ্চ ২৫০০ টাকা তোলা যায়। 


 


টাকা তোলায় বাধা নেই, অবাধ ব্যাঙ্ক, ATM


সেই বাধা এবার উঠে যাচ্ছে। ৩০ ডিসেম্বরের পর থেকে টাকা তোলার ঊর্ধ্বসীমা তুলে দেওয়া হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ। তবুও সংশয়, প্রায় মাসদেড়েকের নোটবন্দির পর স্বস্তির খবর সন্দেহ নেই। তবুও আমজনতা নিশ্চিন্ত হতে পারছে কই? 



চাহিদা-জোগানে ফারাক


৮ নভেম্বর নোট বাতিলের দিন ৫০০-১০০০-এর নোটে বাজারে ছিল প্রায় ১৫.৫ লক্ষ কোটি টাকা। 


কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তথ্য বলছে এখনও পর্যন্ত বাজারে ছাড়া হয়েছে ৫ লক্ষ কোটি টাকা। 


ফলে বাজারে ১০.৫ লক্ষ কোটি টাকার ঘাটতি রয়ে গেছে। 



ঘাটতি মেটাতে জোড়া ফর্মুলা। নোটের এই বিপুল ঘাটতি সত্ত্বেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে কী করে? কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, যে পরিমাণ নোট বাতিল হয়েছে, তা পুরোপুরি বাজারে ফিরবে না। ব্যালেন্স রাখতে তাই ডিজিটাল লেনদেন আর কম নগদ ব্যবহারে জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। তবুও সংশয়। ডেডলাইন ৩০ ডিসেম্বর। হাতে মাত্র দিন দশেক। মাস দেড়েক যে সঙ্কট সামাল দেওয়া যায়নি, দশ দিনে রাতারাতি সেই পরিস্থিতি কতটা স্বাযভাবিক হবে? আশা-আশঙ্কার দোলাচলে আমআদমি।