নিজস্ব প্রতিবেদন: তিন তালাক নিয়ে ফের সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার অর্ডিন্যান্স এনে তিন তালাককে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। তার পর এনিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন মোদী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবার ওড়িশার তালচেরে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে রয়েছে তালচের ফার্টিলাইজার প্ল্যান্ট। ১৩,০০০ কোটি টাকার এই সার কারখানাটি তিন বছরের মধ্যে উতপাদন শুরু করবে। কারখানাটিতে তৈরি হবে ইউরিয়া ও প্রকৃতিক গ্যাস। এর ফলে সারের জন্য বিদেশি নির্ভরতা কমবে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি এদিন ঝাড়সুকদা বিমানবন্দরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।



আরও পড়ুন-দাঁড়িভিটে দাঁড়িয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবিতে সরব হল বামেরা


ওইসব প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষ্যে তালচেরে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী তিন তালাক প্রসঙ্গ টেনে আনেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিন দিন আগে সরকার এমন একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা নেওয়ার প্রয়োজন ছিল কয়েক দশক আগে। এটি হল তিন তালাক নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া। কেউ এনিয়ে কথা বলত না। ভয় পেত, পাছে ভোট কেটে যায়। সেই সিদ্ধান্ত এখন নেওয়া হয়েছে। তিন তালাক এখন বেআইনি।


উল্লেখ্য, বুধবার তাতক্ষনিক তিন তালাককে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে ঘোষণা করতে অধ্যাদেশ (অর্ডিন্যান্স) পাশ করল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। মুসলিম মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে বিরাট পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। এই অধ্যাদেশের বলে তিন বার 'তালাক' শব্দটি উচ্চারণ করে বিবাহ বিচ্ছেদের চেষ্টা করা হলে স্বামীর তিন বছর পর্যন্ত কারাবাসের সাজা ও জরিমানা হতে পারে। এছাড়া,  স্ত্রী খোরপোশের আবেদনও করতে পারবেন।


আরও পড়ুন-ইসলামপুরে নিহত ২ ছাত্রের দেহ দাহ করতে অস্বীকার গ্রামবাসীদের, মৃতদেহ মাটিতে পুঁতে রেখে চলছে পাহারা


২০১৭ সালের অগাস্টে তাত্ক্ষণিক তিন তালাককে বেআইনি ও অসাংবিধানিক হিসাবে রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ। সরকারকে এ বিষয়ে আইন প্রণয়নের নির্দেশেও দিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত।


তালাক-ই-বিদ্দত বা তাত্ক্ষণিক তিন তালাককে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে চিহ্নিত হওয়ার পর আদালতের নির্দেশেই কেন্দ্রীয় সরকার "দ্য মুসলিম ওম্যান (প্রোটেকশন অফ রাইটস অন ম্যারেজ) বিল ২০১৭" পাশ করিয়েছিল লোকসভায়। কিন্তু, রাজ্যসভায় বিলটিকে পাশ করাতে পারেনি সংখ্যালঘু সরকার। ফলে, তা আর আইন হয়ে উঠতে পারেনি। বিলটির সব দিক খতিয়ে দেখতে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর দাবি করা হয়। বাদল অধিবেশনের শেষ দিন এই বিলে তিনটি প্রধান সংশোধনী নিয়ে আসা হয়।