ওয়েব ডেস্ক: ভারতেকে 'ডিজিটাল ইন্ডিয়া'য় রূপান্তরিত করতে মোদী সরকার যতই আদাজল খেয়ে লাগুক, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মনোনয়নের সঙ্গে প্রয়োজনীয় জমানতের ক্ষেত্রে কিন্তু ডিজিটাল পেমেন্ট বা চেক গ্রহণ করা হচ্ছে না, এমনটাই খবর বিশেষ সূত্রে। ভারতের রাষ্ট্রপতি পদে লড়াই করার জন্য নিয়ম অনুসারে যে ১৫ হাজার টাকা জমানত হিসাবে রাখতে হয় তা এতদিনকার মতো এবারেও নগদেই জমা দিতে হবে প্রার্থীদের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত, মনোনয়ন পেশ করার সময় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার তথা লোকসভার সেক্রেটারি জেনারেলের কাছে এই টাকা জমা দিতে হয় এবং সেখানে উপস্থিত থাকা এক ব্যাঙ্ক অফিসার ওই টাকা পরীক্ষা করে নেন। এছাড়াও মনোনয়নের 'রিসিপ্টের কপি' দেখিয়ে প্রার্থীরা ওই টাকা ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কেও জমা দিতে পারেন। কিন্তু ইতিমধ্যে সরকার বহুক্ষেত্রে ডিজিটাল মাধ্যমে লেনদেনে উত্সাহ দিলেও কেন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মতো হাই-প্রোফাইল নির্বাচনে সেই পথে হাঁটছে না তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। অনেকেই বলছেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে যদি ডিজিটাল মাধ্যমে জমানত গ্রহণকে স্বাগত জানানো হত, তাহলে তা সাধারণ মানুষকে ডিজিটাল মাধ্যমে লেনদেনের জন্য আরও উত্সাহী করার কাজে ব্যবহার করা যেত।


উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত মোট ১৫ জন রাইসিনা হিলসে বাসিন্দা হিসাবে প্রবেশের ইচ্ছা নিয়ে মনোনয়ন জমা করেছেন। এর মধ্যে নথি বেঠিক হওয়ায় অবশ্য সাত জনের প্রার্থীপদ ইতিমধ্যেই বাতিল হয়ে গেছে। বাকিদের মধ্যেও নাকি অনেকের মনোনয়নেই ৫০ জন প্রস্তাবক ও সমর্থকের স্বাক্ষর নেই, ফলে সেগুলি নিয়েও ভবিষ্যতে সমস্যা তৈরি হতে পারে। প্রসঙ্গত, মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ-২৮শে জুন। নির্বাচনের তারিখ-১৭ই জুলাই এবং ভোট গণনা- ২০শে জুলাই। (আরও পড়ুন- রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাদের প্রতি সমর্থনের আর্জি নিয়ে শিবসেনার দ্বারস্থ অমিত শাহ)