শুরু অনাস্থা বিতর্ক, অবস্থান বদলে ভোট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত শিবসেনার
তবে এরমধ্যে পদ্ম শিবিরের অস্বস্তি চরম বাড়িয়েছে উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: অনাস্থা প্রস্তাবের উপর বিতর্ক শুরু হতেই রঙ বদলাতে শুরু করেছে লোকসভার সমীকরণে। প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ হওয়ার কথা। ইতিমধ্যে সরকারকে স্বস্তি দিয়ে কক্ষত্যাগ করেছে নবীন পট্টনায়কের বিজু জনতা দলের (বিজেডি) সাংসদরা। বিজেডি নিজেকে সরিয়ে নেওয়ায় লোকসভার সদস্য সংখ্যা কমে ৫১৪ হয়ে গিয়েছে। তবে এরমধ্যে পদ্ম শিবিরের অস্বস্তি চরম বাড়িয়েছে উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা। তারা জানিয়েছে, ভোটাভুটি থেকে তাঁরা নিজেদের দূরে রাখবে। অথচ, বৃহস্পতিবারই বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর ফোন পাওয়ার পর সরকারের পাশে সেনা দাঁড়াবে বলে শোনা গিয়েছিল। কিন্তু, এদিন সকালেই আবার অবস্থান বদল করে বিজেপি-র এই জোটসঙ্গী। তবে, শেষ পর্যন্ত শিবসেনা যে ঠিক কী করবে, সে বিষয়ে সন্দেহ কাটছে না কোনও মহলের।
এদিকে অনাস্থা প্রস্তাবকে সমর্থনকারী দলগুলির দাবি, তাঁরা ভোটাভুটির থেকে বিতর্ক নিয়ে অনেক বেশি আগ্রহী। এই মুহূর্তে লোকসভায় এনডিএ-র যা আসন সংখ্যা, তাতে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে এসে যে সরকার ফেলা অসম্ভব তা ভালো করেই জানে বিরোধীরা। তবু, অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপিত হওয়ায় সারা দেশের নজর থাকবে লোকসভায়, আর সেই মঞ্চকে ব্যবহার করেই সরকারকে কোণঠাসা করতে চায় বিরোধী পক্ষ। অন্যদিকে, বিজেপি চেয়েছিল এক তৃতীয়াংশ সমর্থন নিয়ে ভোটে জিততে। কিন্তু, শিবসেনার বর্তমান অবস্থানে সেই স্বপ্ন অধারই থেকে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, বিরোধীদের একাংশের আনা এই অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ করাটাও বিজেপির কৌশলী পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এই প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটিতে বিরোধীরা পর্যুদস্ত হলে, অধিবেশনের বাকি দিনগুলিতে তাদের খুব বেশি কথা বলার মতো মুখ থাকবে না। আর সেই পরিসরে বিল পাস করাতে চায় সরকার। আরও পড়ুন- রাতে কাকলি ঘোষ দস্তিদারের বাড়িতে হানা দিল্লি পুলিসের