LAC বরাবর একতরফা পরিবর্তন নয়, চিনকে কড়া বার্তা ভারতের
জয়শঙ্কর আরও জানান যে, উচ্চপর্যায়ের সামরিক বৈঠকের সময় এগিয়ে আনার বিষয়েও একমত হয়েছে নয়াদিল্লি এবং বেজিং।
নিজস্ব প্রতিবেদন- প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) বরাবর কোনওরকম একতরফা পরিবর্তন বরদাস্ত করা হবে না। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO) অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের সম্মেলেন চলাকালীনই চিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে কড়া বার্তা দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S. Jaishankar)। পাশাপাশি তিনি সাফ জানালেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য সীমান্তে শান্তি ফিরিয়ে নিয়ে আসাও খুবই জরুরি। ২০২০-র সেপ্টেম্বরের পর এই প্রথম মুখোমুখি বৈঠক করলেন চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের এবং জয়শঙ্কর। বৈঠকের পর টুইটারে জয়শঙ্কর লেখেন, 'ওয়ের্স্টান সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনায় জোর দেওয়া হয়েছে। চিনকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে আলোচনা ছাড়া প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর একতরফা পরিবর্তন কোনোভাবেই করা যাবে না। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুতের ক্ষেত্রে সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় সম্পূর্ণ শান্তি ফিরিয়ে আনা দুই দেশের পক্ষেই খুবই গুরুত্বপূর্ণ।' জয়শঙ্কর আরও জানান যে, উচ্চপর্যায়ের সামরিক বৈঠকের সময় এগিয়ে আনার বিষয়েও একমত হয়েছে নয়াদিল্লি এবং বেজিং।
আরও পড়ুন: জম্মুর আকাশে ফের ড্রোন, গুলি করতেই ফিরে যায় পাকিস্তানে
২০২০ সালের মে মাস থেকে পূর্ব লাদাখ সীমান্ত বরাবর ভারত এবং চিনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় এবং চিনা সেনার মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান মারা গিয়েছিলেন। চিন অবশ্য হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করেনি, যদিও সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, চিনের পক্ষে হতাহতের সংখ্যা ৪৫-এর কম নয়। এরপর ২০২১ এর ফেব্রুয়ারিতে প্যাংগং লেকের উত্তর এবং দক্ষিণ সীমান্ত থেকে সেনা পিছিয়ে নেয় দুই দেশই। কিন্তু তারপরেও জুন মাসে নয়াদিল্লির তরফে সীমান্তে উত্তেজনার জন্য চিনকে দায়ী করা হয়।
যদিও নয়াদিল্লির সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে বেজিং। চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, ‘বেশ কিছু সময় ধরেই সীমান্ত বরাবর সৈন্য সংখ্যা বাড়াচ্ছে ভারত। উদ্দেশ্য চিনা ভূখণ্ডে জবরদখল করা। সীমান্ত বরাবর উত্তেজনা তৈরি হওয়ার এটাই মূল কারণ।‘ তিনি আরও বলেন, চিনের মতে দুদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সঙ্গে সীমান্তের সমস্যাকে জুড়ে দেওয়া উচিত নয়। দুটি সম্পূর্ণ পৃথক বিষয়।