নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যসভায় ডেপুটি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে বিরোধীদের ভরাডুবির পর ফের রাহুল গান্ধীর নেতৃত্ব নিয়ে উঠে গেল বড়সড় প্রশ্ন। আর এই প্রশ্ন বিজেপির কেউ তোলেনি, বরং সম্ভাব্য মহাজোটের অন্দরেই সংশয়, কংগ্রেস সভাপতি কি আদৌ সকলকে নিয়ে চলতে আগ্রহী? এভাবে পরাজয়ের পিছনে রাহুলের একগুয়েমি ও কৌশলের ভুলকেই তুলে ধরছেন বিরোধী নেতারা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বৃহস্পতিবার এনডিএ জোটের প্রার্থী হরিবংশ নারায়ণ সিংকে নতুন ডেপুটি চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ১২৫টি ভোট পেয়েছেন তিনি। কংগ্রেস প্রার্থী বিকে হরিপ্রসাদ পেয়েছেন ১০৫টি। এদিন নির্বাচনে ভোটদান থেকে বিরত থাকেন আপের তিন সাংসদ। পরে আপ জানায়, নরেন্দ্র মোদীকে আলিঙ্গন করতে পারেন রাহুল গান্ধী অথচ কেজরিওয়ালকে ফোন করতে পারেন না। প্রসঙ্গত, এই কেজরিওয়াল কর্ণাটকে কুমারস্বামীর শপথগ্রহণে হাজির হয়েছিলেন। মোদী বিরোধী এই নেতাকে ফোন করে রাহুল কথা বললেই আপের সমর্থন পাওয়া যেত। অথচ সেই পথ মাড়াননি কংগ্রেস সভাপতি। কেজরিওয়ালের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেছেন তিনি। অন্যদিকে ডেপুটি চেয়ারম্যান পদে এনডিএ প্রার্থীর জন্য সমর্থন চেয়ে কেজরির নম্বর ঘুরিয়েছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। আপ সূত্রে খবর, নীতীশের অনুরোধ রাখবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। আপ নেতা সঞ্জয় সিংয়ের প্রশ্ন, কেজরিওয়াল মোদী বিরোধী জেনেও ফোন করেছিলেন নীতীশ কুমার অথচ রাহুল গান্ধী পারলেন না!


আরও একটা বিষয় খটকা লাগছে অনেকের। বিজেডি ও টিআরএসের মতো দলকেও পাশে নিয়ে ফেলেছে বিজেপি। কীভাবে? মোদীর সঙ্গে কেসিআরের বৈঠকেই নাকি টিআরএসকে সঙ্গে নিয়ে ফেলেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। আর ওডিশার মুখ্যমন্ত্রীকে তো ফোন করেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ বারবার জেতার পরও চেষ্টার কসুর রাখছেন না, অথচ রাহুল গান্ধীর কৌশলে জেতার সেই উদ্যম চোখে পড়ছে না বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। অনেকেই বলছেন, জেডিইউ সাংসদ হরিবংশ নারায়ণ সিংকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। অথচ প্রার্থী পদ বিরোধীদের ছাড়তে পারল না কংগ্রেস। সেক্ষেত্রে বিরোধীদের বার্তা দিতে পারতেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু সেই সুযোগ হাতছাড়া করলেন তিনি।   


তবে প্রকাশ্যে বিরোধীদের হার মানতে নারাজ রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও'ব্রায়েন। তাঁর কথায়,''বিজেপি ও এনডিএ-র বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ। এতটাই মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি, যে ফোন করে ভোট চাইতে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীকে। একটা নির্বাচনে সব শেষ হয় না। এটা ওয়ার্ম ম্যাচ। বিশ্বকাপে ভোটাররা আলাদা হবেন''।


আরও পড়ুন- ঘাসফুল পতাকায় বন্দি অমিত-মঞ্চ