ওয়েব ডেস্ক: নোট বাতিলের চার মাস। ২০১৬, ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর 'অর্থনৈতিক সার্জিক্যাল স্ট্রাইক' রাতারাতি গোটা দেশে আলোড়ন তৈরি করেছিল। সেদিন থেকে চার মাস পেরিয়ে নতুন বছরের ৮ মার্চেও তার রেশ চলছে। দেশে 'আমূল পরিবর্তন' এখনও পর্যন্ত হয়নি, তা ঠিক। তবে দেশ অন্য ভাবধারার আর্থিক পরিকাঠামোতে একটু একটু করে মানিয়ে নিচ্ছে। এখনও পর্যন্ত এই নোট বাতিলের 'বলি' হয়েছে ১২০ জন। বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেস এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য দাবি তুলেছিল ঠিকই কিন্তু লাভ হয়নি কিছুই। মোদী মন্ত্রিসভা নিজেদের অবস্থান থেকে একচুলও সরেনি। তবে নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে নিজেদের 'অর্জিত অবস্থান' থেকে সরে যেতে বাধ্য হলেন ভারতের দুই ধনকুবের।     


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিশ্ব বিলিয়নেয়ারের তকমা ঘুচে গেল ভারতের দুই ধনকুবেরের! নোট বাতিলের ধাক্কায় সচিন বনসল এবং বিন্নি বনসলের এতদিনকার 'বিলিয়নেয়ার রাজ্যপাট' আর নেই! অতি সযত্নে লালিত-পালিত এতদিনের বিলিয়নেয়ার স্ট্যাটাস থেকে 'পদস্খলন' হল ই-কমার্স ব্যবসায়ী সচিন বনসল এবং বিন্নি বনসলকে। চিনের ম্যাগাজিন 'হুরুন'-র দাবি, নোট বাতিলের ধাক্কায় ভারতরে ধনকুবেরের লম্বা তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন মোট ১১ জন বিলিয়নিয়ার। বর্তমানে ভারতের বিলিয়নেয়ারদের তালিকায় রয়েছেন ১৩২ জন ধনকুবের। তাঁদের মধ্যে শীর্ষে বিরাজ করছেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক মুকেশ আম্বানি। প্রথম দশেই রয়েছেন এস পি হিন্দুজা, দিলীপ সাংভি, পলনজি মিস্ত্রি, লক্ষী মিত্তল প্রমুখ। 



"এক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ভারত। সরকারের নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত একটি দৃঢ় পদক্ষেপ। দীর্ঘ মেয়াদি প্রভাবে নোট বাতিল ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। শুধু তাই নয়, অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা ব্যবসায়ীদের ওপরও বিস্তর প্রভাব ফেলবে", এমনটাই জানিয়েছেন চিনা ম্যাগাজিন হুরুনের প্রধান গবেষক আনাস রহমান জুনেইদ। 


চিনের ম্যাগাজিন হুরুনের প্রতিবেদনে ভারতের 'বিলিয়নেয়ার শহর' এবং রাজ্যেরও উল্লেখ করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে যে তিন মেট্রো শহরের উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলো হল- মুম্বই (৪২), দিল্লি (২১), আমেদাবাদ (৯)। রাজ্যগুলোর মধ্যে প্রথমেই আছে মহারাষ্ট্র। তারপর যথাক্রমে দিল্লি, গুজরাট (১০), কর্ণাটক (৯)।