নিজস্ব প্রতিবেদন- বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার শারমিন আক্তার নামে এক মহিলা পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। তাও একসঙ্গে। তিনটি ছেলে ও দুটি মেয়ে। কিন্তু তিনজন সন্তানকে অবশ্য বাঁচানো যায়নি। সেখানকার লাকসাম জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, শারমিন অস্ত্রোপচার ছাড়াই পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। কিন্তু তিন সন্তানের ওজন এতটাই কম ছিল যে তাদের বাঁচানো যায়নি। বিহারের সরকারি আধিকারিকরা শারমিনের উদাহরণ টানতে পারেন। কারণ বিহারের সরকারি নথি বলছে, এক মহিলা আট সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। সেই মহিলার বয়স আবার ৬৫ বছর। অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে তো! কিন্তু সরকারি হিসাবে সবই সম্ভব।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শারমিন আক্তার একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। মানুষের পেট থেকে একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম বিরলতম ঘটনা। তবে এই দুনিয়ায় এমন অনেক কিছুই অবিশ্বাস্য ঘটে। শারমিনের ঘটনা অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি ছিল। কিন্তু বিহারের এই ঘটনা! সরকারি হিসাব বলছে, বিহারের ওই ৬৫ বছর মহিলা ১৩ মাসের ব্যবধানে আটটি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। এমন ঘটনা শুনে চিকিতসক থেকে শুরু করে বিজ্ঞানী, য়ে কেউ আঁতকে উঠবেন। তবে অসম্ভব ঘটনাটিকে সম্ভব বলে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন সরকারি আধিকারিকরা। আর এর পিছনে রয়েছে দুর্নীতির যোগ। সরকারি টাকা তছরুপের জন্য আধিকারিকরা ফন্দি এঁটেছিলেন। 


আরও পড়ুন-  বড় ঘোষণা : করোনার জন্য কাজ হারানো কর্মীদের তিন মাস অর্ধেক বেতন দেবে সরকার


NRHM বা ন্যাশনাল রুরাল হেলথ মিশন বা রাষ্ট্রীয় গ্রাম স্বাস্থ্য যোজনা-র বরাদ্দ টাকা তছরুপের জন্য ছক কষেছিলেন আধিকারিকরা। ওই মহিলা ১৩ মাসে আট সন্তান জন্ম দিয়েছেন বলে তথ্য দেওয়া হয়েছিল। প্রতিবার ডেলিভারির পর ১,৪০০ টাকা করে তোলা হয়েছে। শান্তি দেবী নামের ওই মহিলা একটি সন্তানেরও জন্ম দেননি। কিন্তু আটবার তাঁর ডেলিভারির জন্য টাকা তুলে নিয়েছে কেউ বা কারা! শান্তি দেবী এই দুর্নীতির বিন্দুমাত্র জানতে পারেননি। ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের অগস্টের মধ্যে তিনি নাকি আটটি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। মুজফ্‌ফরপুরের মুশারি ব্লকের এই ঘটনা সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতির জলজ্যান্ত উদাহরণ। শান্তি দেবীর অ্যাকাউন্টে আটবার ১৪০০ টাকা করে জমা পড়েছে। আর পরদিনই সেই টাকা কেউ বা কারা তুলে নিয়েছে। বিহারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মঙ্গল পান্ডে ইতিমধ্যে এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। চার সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।