কেরলে এই প্রথম, বিশপকে গ্রেফতারের দাবিতে পথে নামলেন নান-রা
বিক্ষোভকারী নান সিস্টার অনুপমা সংবাদমাধ্যমে জানান, কেরল ও পাঞ্জাবে অভিযুক্ত বিশপের প্রবল প্রভাব রয়েছে। টাকা ছড়িয়ে তিনি সবার মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিশপের গ্রেফতারির দাবিতে এবার রাস্তায় নান-রা। কেরলে এমন ঘটনা এই প্রথম। জলন্ধরের বিশপ ফ্রাঙ্কো মালাক্কালের বিরুদ্ধ ওঠা ধর্ষণের অভিযোগ চেপে দেওয়ার চেষ্টা করছে ক্যাথোলিক চার্চ কর্তৃপক্ষ ও পুলিস, এই অভিযোগে শনিবার কোচির ভাঙ্চি স্কোয়ারে ৩ ধণ্টা ধরনা দেন একদল নান।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসে এক নান অভিযোগ করেন তাঁকে ব্ল্যাক মেইল করে ধর্ষণ করেছেন জলন্ধরের বিশপ ফ্রাঙ্কো মালাক্কাল। ২০১৪ থেকে ২০১৬, টানা দুবছর ধরে তাঁকে ১৩ বার ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ওই নান। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৩ জুন একটি এফআইআর হয় কোয়াট্টামে। গত মাসে ওই অভিযোগের ভিত্তিতে জেরা করা হয়েছে মালাক্কালকে। এদিন প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভে সামিল হন নানরা। তাঁদের হাতে ছিল ‘কে ফ্রাঙ্কোকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছে’ লেখা পোস্টার।
আরও পড়ুন-ওভারলোড ট্রাকের জেরে ভাঙতে পারে আরও সেতু, মমতাকে চিঠি
শনিবার নানদের ওই বিক্ষোভের আয়োজন করেছিল জয়েন্ট ক্রিশ্চিয়ান কাউন্সিল। বিক্ষোভকারী নান সিস্টার অনুপমা সংবাদমাধ্যমে জানান, ’সরকার থেকে চার্চ-প্রত্যেকের দরজায় আমরা কড়া নাড়ছি। কোনও ফল মিলছে না। কেরল ও পাঞ্জাবে অভিযুক্ত বিশপের প্রবল প্রভাব রয়েছে। টাকা ছড়িয়ে তিনি সবার মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছেন। এই লড়াই আমরা ছাড়ব না। এই বিক্ষোভের ফল কী হবে জানি না তবে চার্চের মধ্যে থেকেই এর প্রতিবাদ করব।’
জয়েন্ট ক্রিশ্চিয়ান কাউন্সিল-এর প্রধান জর্জ যোসেফ সংবাদমাধ্যমে বলেন, সরকার ও পুলিসের বিরুদ্ধই এই বিক্ষোভ। নানদের প্রতি ন্যায় বিচার করতে হবে সরকারকে। বিশপ মালাক্কালকে দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে। এখবার গ্রেফতার হলেই চার্চ কর্তৃপক্ষ মালাক্কালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।
আরও পড়ুন-নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা সরকারের নেই! ফের বাড়ল পেট্রোল-ডিজেলের দাম
অন্যদিকে কোট্টায়ামের এসপি হরি শঙ্কর বলেন, বিশপকে গ্রেফতারের জন্য যে ধরনের সাক্ষ্যপ্রমাণ প্রয়োজন তা পুলিসের কাছে নেই। নির্যাতীতা নানের জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। তা এখন পরীক্ষা করে দেখছে পুলিস। অভিযোগ করতে দেরি হওয়ার কারণে জটিলতা বেড়েছে।