`আনলাকি` নয়, রবিঠাকুরের কল্যাণে `১৩` তারিখ আমাদের কাছে `নোবেল-ডে`
১৯১৩ সালের ১৩ নভেম্বরই সাহিত্যে নোবেল পেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ
নিজস্ব প্রতিবেদন: ১৩-কে সাধারণত 'আনলাকি থার্টিন' বলে নিন্দে করা হয়। কিন্তু এই ১৩ তারিখেই বাঙালি, তথা ভারতবাসী তথা এশিয়াবাসীর কপালে ঠিকরে পড়েছিল সৌভাগ্যের অপূর্ব আলো। ১৯১৩ সালের এই দিনেই সাহিত্যে এশিয়ার প্রথম নোবেলজয়ী হিসেবে নিজের নাম ইতিহাসে তুলে ফেলেছিলেন উত্তর কলকাতার জোড়াসাঁকোর বাঙালি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাঁর 'সঙ্গস অফারিংস' পেয়েছিল সেই বিরল সম্মান।
'সঙ্গস অফারিংস' রবীন্দ্রনাথের বাংলা কবিতার স্বকৃত অনুবাদ। শুধু কবিতা নয়, সেই অনুবাদে বরং বেশিরভাগই ছিল গান বা গীতিকবিতা।
যাই হোক, রবীন্দ্রনাথের কবিতাই এই সম্মান পেয়েছিল। তবে তিনি তো শুধু কবি নন। তিনি ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, গীতিকার, কম্পোজার, নাট্যকার, চিত্রকরও। বহুবিধ সৃষ্টিশীলতার আনন্দস্রোতে বহমান তাঁর কৃষ্টি, তাঁর দর্শন, তাঁর মনন। যা নিত্যদিনের ক্ষুদ্রতাকে পাশ কাটিয়ে শাশ্বতের দিকে নিয়ে যায় পাঠককে। পাশ্চাত্যও তাঁর সাহিত্যের এই গুণে মজেছিল। ভারতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির রসে প্রাণিত তাঁর কাব্যের ভূয়সী প্রশংসা শোনা গিয়েছিল পাশ্চাত্য় জুড়ে।
আধুনিক কালে ভারতীয় সাহিত্যকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিয়ে যাওয়ার বিরল কৃতিত্ব রবীন্দ্রনাথেরই। আর সেটা অফিশিয়ালি ঘটেছিল আজকের দিনেই।
আরও পড়ুন: সাবধান! আপনি কিন্তু নজরদারি ক্যামেরার আওতায়!