নিজস্ব প্রতিবেদন: ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের ওপরে হামলার জেরে গুজরাট ছাড়ছেন বিহার ও উত্তরপ্রদেশের হাজার হাজার শ্রমিক। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে সর্তক করলেন কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় নিরুপম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রধানমন্ত্রীকে নিরুপমের হুশিয়ারি, বিজেপি গুজরাট থেকে ইউপি ও বিহারের শ্রমিকদের পালাতে বাধ্য করছে। কিন্তু মোদীজিকে মনে রাখতে হবে তাঁকেও একদিন বারাণসীতে যেতে হবে।


কেন এই রাজনৈতিক তরজা? গত ২৮ সেপ্টেম্বর সবরকাঁথা জেলার হিম্মতনগরে এক ১৪ মাসের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে বিহারের এক শ্রমিকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার শুরু হতেই রাজ্যের বিরাট অংশে হাঙ্গামা শুরু হয়ে যায়।


আরও পড়ুন-বলরামের পাকস্থলীতে মিলল বিষ, যুগলের রহস্যমৃত্যুর পিছনে তৃতীয় কারও হাত?


নির্যাতীতা শিশুটি ঠাকোর সম্প্রদায়ের। এতে ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের ওপরে হামলা শুরু করেছে ঠাকোররা। অভিযোগ উঠেছে কংগ্রস নেতা অল্পেস ঠাকোরের বিরুদ্ধেও।


একটি হিসেব মতো এখনও পর্যন্ত উত্তরভারতের ৫০,০০০ হাজার শ্রমিক গুজরাট থেকে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। হিংসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৮০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৯টি মামলা রুজু হয়েছে।


সংবাদমাধ্যম সূত্র খবর, রবিবার ভদোদরার ওয়াঘোদিয়ার একটি কারখানায় উত্তরভারতের ৫ শ্রমিকের ওপরে হামলা চালায় এলাকার লোকজন। ওই ঘটনায় পুলিস ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। সৌরাষ্ট্রের কোদিনারে একটি কারখানার মধ্যে জোর করে ঢুকে পড়ে এলাকার লোকজন। এরপর ওই কারখানা বন্ধ করে দেয়।


আরও পড়ুন-মহালয়ায় হাজার হাজার মানুষের তর্পণ গয়ায়, ফল্গু নদীর তট যেন মিনি ভারত


বেশ কয়েকদিন ধরে হামলার জেরে আতঙ্ক বাড়ছে উত্তরভারতের শ্রমিকদের ওপরে। ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের সংগঠন ভারতীয় বিকাশ পরিষদ-এর প্রেসিডেন্ট শ্যামসিং ঠাকুর সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, শুধুমাত্র রবিবারই হামলা থেকে বাঁচানোর আর্তি নিয়ে তাঁর কাছে গুজরাট থেকে ৭০০ ফোন এসেছে।


সংবাদমাধ্যমে ঠাকুর বলেন, এখনও পর্যন্ত উত্তরভারতের ৫০,০০০ মানুষ হামলার আশঙ্কার গুজরাট ছেড়েছেন। শিল্পাঞ্চলে এই সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। আহমেদাবাদে পরিস্থিতি কিছুটা ভালো। যারা চলে গিয়েছেন তারা কমপক্ষে ৩ মাসের আগে ফিরবেন না বলেই মনে হয়। মেহসনা জেলায় ৭০ শতাংশ ভিনরাজ্যের শ্রমিক রাজ্য ছেড়়েছেন।