নিজস্ব প্রতিবেদন : অগ্নিগর্ভ অসমে ঝরল রক্ত। বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। পুলিসের গুলিতে প্রথমে গুয়াহাটির লাসিত নগরে একজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। জানা গিয়েছে, আন্দোলনকারীদের নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি ছোড়ে পুলিস। তখনই গুলিবিদ্ধ হন দিপাজ্জল দাস নামে এক আন্দোলনকারী। গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত দিপাজ্জল দাসের বাড়ি অসমের ছয়গ্রামে। গুয়াহাটির সৈনিক ভবনের ক্যান্টিনের কর্মী দিপাজ্জল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গুয়াহাটির হাতিগাঁও এলাকার শঙ্করপথেও গুলি চালিয়েছে পুলিস। আন্দোলনকারীরা পুলিসেকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়লে পুলিস গুলি চালায়। মৃত্যু হয় আরেক আন্দোলনকারীর। গুয়াহাটির বৈশিষ্ট্যর নতুন বাজারেও পুলিসের গুলিতে এক আন্দোলনকারীর মৃত্যুর খবর মিলেছে। এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে এক ঘণ্টায় মোট তিন আন্দোলনকারীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। প্রথমে লাসিত নগর, তারপর হাতিগাঁও এলাকার শঙ্করপথ ও সব শেষে বৈশিষ্টর নতুন বাজারে মৃত্যু হল আন্দোলনকারীর।


এই পরিস্থিততে অগ্নিগর্ভ অসমের আইন-শৃঙ্খলার বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেনাকে। গুয়াহাটির ইউনিফাইড কমান্ডারের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি জেলার পুলিস সুপারকে। ওদালগুড়ি, শোণিতপুর, ডিব্রুগড়, ডিমহাসও সহ আরও কয়েকটি জেলার পুলিস সুপারদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি গুয়াহাটিতে জারি করা হয়েছে অনির্দিষ্টকালের কারফিউ। শিবসাগরেও জারি অনির্দিষ্টকালের কারফিউ।


উল্লেখ্য, কিছু আগেই গুয়াহাটির পুলিস কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে দীপক কুমারকে। তাঁর জায়গায় নিয়ে আসা হয়েছে মুন্না প্রসাদ গুপ্তাকে। প্রশাসন সূত্রে খবর, বদলি করা হচ্ছে আরও ৪ ডেপুটি কমিশনারকেও। একইসঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দিতে NIA-র IGP জিপি সিং-কে অসম পুলিসের ADGP পদে নিয়ে আসা হয়েছে।


আরও পড়ুন, CAB নিয়ে ভ্রান্তিতে ভুগছেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী, মন্তব্য ভারতের বিদেশমন্ত্রকের


নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হওয়ার পর থেকেই জ্বলছে অসম। হিংসা থামার কোনও লক্ষ্মণই নেই। কারফিউ জারি রয়েছে। কিন্তু কারফিউকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পথে নেমেছে হাজার হাজার মানুষ। ১০ জেলায় বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট। বাস জ্বালিয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। সবমিলিয়ে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। কিছু আগে ফের ট্রাক জ্বালিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। বিপর্যস্ত ট্রেন ও বিমান পরিষেবা।