নিজস্ব প্রতিবেদন- দেশের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট বলছে, দিওয়ালিতে ফিঁদায়ে হামলার ছক কষছে জঙ্গি সংগঠনগুলি। এরই মধ্যে সীমান্ত দিয়ে পাক জঙ্গিরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। তবে সীমান্তে ভারতীয় সেনার অতন্দ্র পাহারার জন্য পাকিস্তানি জঙ্গিদের এদেশে ঢোকার সবরকম চেষ্টা বানচাল হচ্ছে। জম্মু-কাশ্মীরে একের পর এক জঙ্গি হামলা ও নাশকতার ঘটনা কিন্তু ঘটছে। যদিও পরিসংখ্যান বলছে, জম্মু-কাশ্মীরের সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকে সেখানে নাশকতার ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছে। গত কয়েক মাসে জঙ্গি সংগঠনগুলির একাধিক বড় নেতাদের খতম করেছে সেনা ও পুলিস। এদিনও এক জঙ্গিকে খতম করল সিআরপিএফ ও সেনার যৌথবাহিনী। ভয়ে আরেক জঙ্গি আত্মসমর্পণ করল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চোখের সামনে সঙ্গীকে গুলিতে ঝাঁঝরা হতে দেখে আরেক জঙ্গি তড়িঘড়ি আত্মসমর্পণ করে। দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার অবন্তীপোরার ত্রাল এলাকায় দুজন জঙ্গির লুকিয়ে থাকার খবর পেয়েছিল সেনা। তারপরই সন্ধ্যের দিকে পুলিস-সেনা ও সিআরপিএফের যৌথবাহিনী ওই এলাকা ঘিরে ফেলে। শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। এলাকা ঘেরাও করার পরই যৌথ বাহিনীর দিকে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে দুই জঙ্গি। তখনই সেনার তরফে ওই দুই জঙ্গিকে আত্মসমর্পণ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু দুই জঙ্গি এরপরও ফায়ারিং জারি রাখে। তখনই পাল্টা গুলি চালায় সেনা।


আরও পড়ুন-  ফের টার্গেট মুম্বই! জঙ্গি হামলার সতর্কবার্তা গোয়েন্দা সংস্থার, হাই অ্যালার্ট বাণিজ্য নগরীতে


চোখের সামনে সঙ্গীকে মারা পড়তে দেখে ভয় পেয়ে যায় আরেক জঙ্গি। তারপর সে আত্মসমর্পণ করে। জানা গিয়েছে ওই জঙ্গি পুলওয়ামার গুলশানপুরা এলাকায় থাকত। ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে সে ফেরার ছিল। নিরাপত্তা বাহিনী তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছিল। সেই জঙ্গির থেকে একে ৪৭ রাইফেল এবং বুলেট উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। আইজি কাশ্মীর জানিয়েছেন, যৌথবাহিনী বারবার জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের প্রস্তাব দিয়েছিল। তারা রাজি না হওয়ায় নিরাপত্তা বাহিনী গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। আর তাতেই মারা পড়ে একজন। করোনা প্রোটোকল মেনে ওই জঙ্গির নিথর দেহ কবর দেওয়া হবে।