নিজস্ব প্রতিবেদন: এক ফুল দো মালি...। সরি, এখানে বলা ভাল, একটি অ্যাকাউন্ট, দু’জন গ্রাহক। দুজনেরই নাম হুকুম সিং। একজন টাকা জমা দেন। অন্য জন তোলেন। বিনা সংশয়ে। কেনই বা সংশয় হবে! যে দেশের প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, প্রত্যেক নাগরিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। তা হলে আর চিন্তা কী? মোদীই টাকা পাঠাচ্ছেন এই ভেবে দিনের পর দিন নির্দ্বিধায় টাকা তুলে যাচ্ছেন রোনি গ্রামের বাসিন্দা হুকুম সিং।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এমনই অদ্ভুত কাণ্ড ঘটেছে মধ্য প্রদেশের আলমপুর স্টেট ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের সঙ্গে। রুরই গ্রামের বাসিন্দা হুকুম সিং এবং রোনি গ্রামের বাসিন্দা হুকুম সিং, দু’জনেরই অ্যাকাউন্ট আলমপুরের স্টেট ব্যাঙ্কে। অ্যাকাউন্ট নম্বরও এক। সেখানেই ঘটেছে গন্ডগোল। কাজের সন্ধানে হরিয়ানায় চলে যান রুরই গ্রামের হুকুম। সেখানে দিনমজুরি খেটে যা আয় হয়, তার কিছুটা ব্যাঙ্কে ফেলতেন তিনি। অন্যদিকে, রোনি গ্রামের হুকুম সিং দেখেন, বলা নেই কওয়া নেই প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা করে ঢুকছে। তারপরই তাঁর মনে পড়ে যায়, নোটবন্দির সময় প্রধানমন্ত্রীই বলেছিলেন না! প্রত্যেক নাগরিকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। তাহলে হয়ত সেই টাকাই দেওয়া শুরু করেছে সরকার। যদিও প্রতিবেশীর অ্যাকাউন্টে এমন টাকা ঢুকছে কিনা খোঁজ নিয়ে দেখেননি হুকুম সিং।



হাটে হাঁড়ি ভাঙল যখন রুরই গ্রামের বাসিন্দা হুকুম সিং ব্যাঙ্কে যান টাকা তুলতে। তিল তিল করে জমানো টাকা দিয়ে জমি কিনবেন বলে ঠিক করেছেন। কিন্তু ব্যাঙ্কের পাসবই দেখে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার অবস্থা হয় হুকুম সিংয়ের। এ কি! যেখানে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা থাকার কথা, সেখানে রয়েছে মাত্র ৩৫ হাজার ৪০০ টাকা! বিভিন্ন সময়ে ৫ হাজার করে টাকা তোলা হয়েছে! তুলল কে?



আরও পড়ুন- লকেটদের বিরুদ্ধে ‘স্বাধিকার ভঙ্গের’ নোটিস আনার চিন্তাভাবনা করছে তৃণমূল



দিশাহারা হুকুম সিং ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের দ্বারস্থ হন। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ সেভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেননি বলে তাঁর অভিযোগ। হুকুম সিংয়ের অনেক কাকুতি-মিনুতির পর ব্যাঙ্ক তদন্ত করে দেখে, একই নাম এবং অ্যাকাউন্ট নম্বরের পাসবই ইস্যু করে আলমবাজার শাখা। টাকা তোলা নিয়ে রোনি গ্রামের হুকুম সিং বলেন, “অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকছে, আমি ভাবলাম মোদীজি টাকা পাঠাচ্ছে। তাই তুলে নিই। টাকার ভীষণ দরকার ছিল। তবে, এটা ব্যাঙ্কেরই গলদ। আমার নয়।”