বিসর্জনের শোভাযাত্রায় খণ্ডযুদ্ধ, লাঠিচার্জ-গুলি, মৃত ১, আহত ২৭
এবার মঙ্গলবার ভোর ৫ পর্যন্ত বিসর্জনের সময় বেঁধে দিয়েছিল পুলিস।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দুর্গা প্রতিমার বিসর্জনকে কেন্দ্র করে পুলিস-জনতা খণ্ডযুদ্ধ বিহারের মুঙ্গেরে। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৮ বছরের এক কিশোরের। আহত অন্তত ২৭ জন। তার মধ্যে ২০ জন পুলিস কর্মী।
বিসর্জন কমিটির সদস্য প্রকাশ ভগৎ জানান, মুঙ্গেরে ৫৩টির বেশি পুজো হয়েছে এবার। দীনদয়াল চক দিয়ে গঙ্গায় বিসর্জন করার কথা ১৫টি পুজোর। বিজয়া দশমীর ৩ দিন পরে বিসর্জন দেওয়াই এখানকার রীতি। কোভিড পরিস্থিতি, তার উপরে প্রথম দফার ভোটগ্রহণও বুধবার। সে জন্য এবার মঙ্গলবার ভোর ৫ পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল পুলিস। কিন্তু প্রশাসনের নির্দেশ উড়িয়ে ডিজে বাজিয়ে বেরিয়ে পড়ে দুর্গাপুজো কমিটিগুলি। রাত ১১.৫০ নাগাদ পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়, যখন কাঁধে প্রতিমা বহনের জন্য ৪ জনের উপরে লাঠিচার্জ করে পুলিস। পুলিসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন পুজো উদ্যোক্তারা। এরপরই পুলিসকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। রাত ১টা পর্যন্ত চলে সংঘর্ষ। বিশাল পুলিস বাহিনী পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করেছে পুলিস। ১৫ রাউন্ড গুলিও ছুড়েছে। মৃত অনুরাগ কুমারের পরিজন সাধনা কুমারের অভিযোগ, মাথায় গুলি করেছে পুলিস।
তবে জনতাই প্ররোচনা দিয়েছিল বলে দাবি মুঙ্গেরের পুলিস সুপার লিপি সিং। তাঁর কথায়,''পুলিসকে লক্ষ্য করে গুলি ও পাথর ছুড়েছে জনতা। ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২৭ জন আহতের মধ্যে ২০ জনই পুলিস কর্মী। পরিস্থিতি এখন আয়ত্তে।''
মুঙ্গের সদর হাসপাতালের চিকিৎসক নিরঞ্জন জানান, ৭ জনের শরীরে গুলির আঘাত রয়েছে। ভাগলপুরের হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে তাঁদের। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন পুলিস কর্মী।
আরও পড়ুন- খতম মৌরসিপাট্টা! জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখে জমি কেনার অধিকার সব ভারতীয়কে