পিস্তল উঁচিয়ে তাণ্ডব, দিল্লিতে সিএএ বিরোধী ও সমর্থকদের সংঘর্ষে নিহত পুলিসকর্মী-সহ ৩
সংঘর্ষের কথা মাথায় রেখে ১০টি এলাকায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা
নিজস্ব প্রতিবেদন: দায় কার? দিল্লির জাফরাবাদ, মৌজপুর, গোকুলপুরী, চাঁদবাগ সহ একাধিক জায়গায় সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হল ৩ জনের। এদের মধ্যে একজন পুলিসের কনস্টেবল এবং বাকিরা সাধারণ নাগরিক।
সোমবার জাফরাবাদ থেকে মৌজপুর পর্যন্ত সিএএ-র সমর্থনকারী ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। পুলিসের সামনেই চলতে থাকে পাথরবৃষ্টি, দেওয়া হয় পেট্রোল পাম্প, দমকলের গাড়ি, ঘর ও যানবাহনে আগুন। বন্দুক হাতে পুলিসের সামনেই এক যুবককে তাণ্ডব করতে দেখা গিয়েছে সংবাদমাধ্যমের বিভিন্ন ফুটেজে। পুলিসের নিষ্কৃয়তার অভিযোগ উঠছে কোনও কোনও মহল থেকে।
আরও পড়ুন-পুরভোট নিয়ে উভয় সংকটে রাজ্য বিজেপি, সমাধান অমিত শাহ এলেই!
এদিকে, ট্রাম্পের সফরের মধ্যেই এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে যাওয়ায় কিছুটা বিপাকে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। পরিস্থিতির ওপরে নজর রাখা হচ্ছে।
এদিন সংঘর্ষ শুরু হতেই গোকুলপুরীতে পাথরে আঘাতে গুরুতর জখম হন দিল্লি পুলিসের হেড কনস্টেবল রতনলাল। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। এর পর একের পর এক মৃত্যুর খবর আসতে থাকে। ভজনপুরা, বাবরপুর, জোহরি এনক্লেভ, শিব বিহার, মৌজপুর, ভজনপুরা সহ একাধিক জায়গায় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। মৃত্যু হয় আরও ২ জনের।
হিংসা ছড়াতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তে থাকে একাধিক ভিডিয়ো। কোনও কোনও ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে রাস্তার ডিভাইডার ভেঙে এক পক্ষ ছুড়ে দিচ্ছে অন্য পক্ষের দিকে। কোথাও শোনা যাচ্ছে জয় শ্রীরাম ধ্বনি। গাড়ি পেট্রোল পাম্পে দেওয়া হচ্ছে আগুন। যদিও ওইসব ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি জি ২৪ ঘণ্টা।
আরও পড়ুন-নৈশভোজে 'মাধুরী স্পেশাল' পানেই ঠোঁট রাঙাবেন ট্রাম্প, হবে মিষ্টিমুখ
এদিকে সংঘর্ষের কথা মাথায় রেখে ১০টি এলাকায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। অভিযোগ উঠেছে পুলিসের নিষ্কৃয়তার কারণেই পরিস্থিতি এই আকার ধারন করল। দিল্লির উপ রাজ্যপাল অবশ্য বলেছেন, পুলিসকে বলেছি যে কোনও উপায়ে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে।
দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্র ও প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুর। একটি টুইটে তিনি বলেছেন, এই পরিস্থিতিতে কোথায় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী? এটা কি ব্যর্থতা নাকি চোখ বুজে থাকা!