নিজস্ব প্রতিবেদন: রমজানের সন্ধেয় দিল্লিতে জমজমাট ইফতার রাজনীতি। পাঁচতারা হোটেলে বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের পাশে নিয়ে ইফতার পার্টি দিলেন রাহুল গান্ধী। এদিন কংগ্রেস সভাপতির পাশে বসে থাকতে দেখা গেল প্রণব মুখোপাধ্যায়কে। তাঁকে আমন্ত্রণ করা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। বুধবার কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা টুইটারে লেখেন,''সংবাদমাধ্যমের সমস্ত জল্পনার অবসান হয়েছে। প্রণববাবু ইফতারে এসেছেন। সনিয়া গান্ধীর ডাকা ইফতারেও ছিলেন তিনি।''


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন রাহুলের ইফতার পার্টিতে বিরোধী দলগুলির নেতানেত্রীদের উপস্থিতি নজর কেড়েছে। তবে খানিকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই বিরোধী দলের প্রধান নেতানেত্রীদের দেখা মেলেনি। মায়াবতী, অখিলেশ যাদব ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতানেত্রীরা গরহাজির ছিলেন। তবে প্রতিনিধি পাঠিয়েছিলেন তাঁরা। রাহুলের ইফতারে সামিল হয়েছিলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, লোকতান্ত্রিক জনতা দলের শরদ যাদব, ডিএমকে নেত্রী কানিমোঝি, তৃণমূলের দীনেশ ত্রিবেদী, বহুজন সমাজপার্টির সতীশচন্দ্র মিশ্র, এনসিপি-র ডিপি ত্রিপাঠী ও ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার হেমন্ত সোরেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, যেমনটা জমাটি ইফতার আশা করা হয়েছিল, তেমন হল না।কিছুটা ফিকেই থাকল কংগ্রেসের ইফতার।          




নেতানেত্রীরা ছাড়াও আমন্ত্রিতের তালিকায় ছিলেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিল ও উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি প্রমুখ। সভাপতি হওয়ার পর প্রথমবার ইফতার পার্টি দিলেন রাহুল গান্ধী। এর আগে ২০১৫ সালে শেষবার ইফতার দিয়েছিল কংগ্রেস। দু'বছর পর লোকসভার আগে ফের কংগ্রেসের অন্দরে ফিরে এল ইফতার রাজনীতি।    
     



একই দিনে ইফতারের আয়োজন করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভিও। সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন তিন তালাকের শিকার মুসলিম মহিলারা। সামিল হয়েছিলেন রাজনাথ সিং-সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যরা। 


আরও পড়ুন-