নিজস্ব প্রতিবেদন: কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন এইচ ডি কুমারস্বামী। কিন্তু দেবগৌড়া পুত্রের এই শপথ গ্রহণের মঞ্চই কার্যত দেশের বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির শক্তি প্রদর্শণের মঞ্চ হয়ে উঠতে চলেছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইতিমধ্যে বেঙ্গালুরুতে পৌঁছেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দ্রবাবু নাইডু, অখিলেশ যাদব, মায়াবতী, সীতারাম ইয়েচুরি-সহ এক ঝাঁক শীর্ষ বিরোধী নেতা। গতকাল রাতেই মমতার সঙ্গে একদফা আলোচনা হয়েছে কুমারস্বামীর। বুধবার সকালে মমতা একান্তে কথা বলেছেন চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে। আর এরপরই সংবাদ মাধ্যমের সামনে মমতা বলেন, তাঁরা (বিরোধী আঞ্চলিক নেতারা) এসেছেন জেডিএস-এর মতো একটি আঞ্চলিক দলের সাফল্য উদযাপন করতে। কংগ্রেসের সম্পর্কে প্রশ্ন করতেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "ওরা একটা আলাদা দল"। মমতার মুখে কংগ্রেস সম্পর্কে এই 'আলাদা দল' শব্দ দুটিকেই অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। রাজনৈতিক মহলের অনুমান, বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ের ময়দানে কংগ্রেসকে মধ্যমণি করে নামার বিষয়ে আঞ্চলিক দলগুলি যে খুব একটা আগ্রহী নয় এদিন সে কথাই বলতে চেয়েছেন মমতা।



এর আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আঞ্চলিক শক্তিগুলির ঐক্যের পক্ষে সওয়াল করেছেন। এবারও বেঙ্গালুরুতে পৌঁছে দেশের প্রায় সব বিজেপি বিরোধী দলগুলির সঙ্গে আলাপ আলোচনার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন মমতা। তাই, লোকসভা ভোটের আগে এদিনের এই সাক্ষাত পর্বকে বিরোধী জোট দানা বাঁধার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।


প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগেও বিজেপিকে হারাতে একের বিরুদ্ধে এক সূত্রের কথা বলেছেন। আর কর্ণাটকে ভোট পরবর্তী জোটে কার্যত মমতার সেই সমীকরণই খেটেছে, বলে মনে করা হচ্ছে। এমতাবস্থায়, কর্ণাটকের এই জোটই আগামী দিনে জাতীয় ক্ষেত্রে বিজেপিকে রুখতে আদর্শ মডেল হয়ে উঠবে বলে মনে করছে বিরোধীরা।


কিন্তু, কোনও কারণে যদি কর্ণাটকের জোট সরকারে চিড় ধরে, তাহলে তা জাতীয় ক্ষেত্রে বিরোধী জোটের উপরও অনিশ্চয়তার আঘাত হানবে। আর যদি এমনটাই হয়, সেক্ষেত্রে দক্ষিণের এই রাজ্যে জোটের ব্যর্থতাকে বড় করে দেখিয়ে জাতীয় স্তরে বিরোধী জোটের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিতে চাইবে পদ্ম ব্রিগেড। তাই, আপাতত এই জোট নিয়ে অতিসাবধানী কংগ্রেস-সহ সব পক্ষই।