নিজস্ব প্রতিবেদন: সেই নয়ের দশকে চাঞ্চল্য ফেলেছিল জৈন কেলেঙ্কারি। গতকাল সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের পর আরও একবার শিরোনামে ওই কুখ্যাত মামলা। মমতার )(Mamata Banerjee) দাবি উড়িয়ে জৈন কেলেঙ্কারির চার্জশিটে তাঁর নাম নেই বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। যা ইতিমধ্যেই অর্ধসত্য বলে আখ্যা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। জৈন কেলেঙ্কারি ফাঁস করেছিলেন যিনি সেই সাংবাদিক বিনীত নারায়ণ (Vineet Narain) মঙ্গলবার ফেসবুকে দাবি করেন,'নৈতিকতার খাতিরে পদত্যাগ করা উচিত জগদীপ ধনখড়ের। জৈনের হিসাব খাতায় তাঁর নামে ৫.২৫ লক্ষ টাকা উৎকোচ নেওয়ার কথা লেখা রয়েছে।' এই কেলেঙ্কারি ফের জনসমক্ষে আনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদও জানান বিনীত (Vineet Narain)। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


জৈন কেলেঙ্কারিতে (Jain Hawala case) ফেঁসে গিয়েছিলেন তৎকালীন তাবড় রাজনীতিকরা। তা জনসমক্ষে এনেছিলেন সাংবাদিক বিনীত জৈন (Vineet Narain)। এই ঘটনা যতটা আলোচিত হওয়া উচিত ছিল ততটা হয়নি। ব্যতিক্রম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৌচাকে ঢিল মেরেছেন! ফেসবুকে কার্যত সেটাই বলতে চেয়েছেন বিনীত। তাঁর কথায়,'হাওয়ালাকাণ্ডে উত্থাপনের জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেব। ১৯৯৩ সাল থেকে সন্ত্রাসবাদ,দুর্নীতি ও হাওয়ালার বিরুদ্ধে লড়াই করছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনও রাজনীতিক, দল বা সংগঠন দেশদ্রোহের এত বড় কাণ্ড নিয়ে সোচ্চার হননি।'


                               
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার রাজ্যপাল দাবি করেন, তাঁর নাম হাওয়ালাকাণ্ডের চার্জশিটে নেই। মামলায় সকলেই মুক্ত হয়েছেন। ধনখড়ের দাবি সর্বৈব মিথ্যা বলে ফেসবুকে লিখেছেন বিনীত নারায়ণ। তাঁর কথায়,'জৈনের হিসাব খাতায় জগদীপ ধনখড়ের নামে ৫.২৫ লক্ষ টাকা ও কেরলের রাজ্যপালের পাশে ৭.৫ কোটি টাকা উৎকোচ নেওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে। ধনখড়ের মতো অভিজ্ঞ আইনজীবীর মিথ্যা বলা উচিত হয়নি। সুপ্রিম কোর্টে মামলা এখনও বিচারাধীন। সকলের অভিযোগ-মুক্ত হওয়ার প্রমাণ দেখান। জৈন মামলায় তদন্ত এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট দেখুক। এই কারণে সন্ত্রাসবাদ, হাওয়ালা ও দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ তো দূর বরং আগের চেয়ে অনেক গুণ বেড়ে দিয়েছে। নোটবন্দির সময় এগুলির উপরে নিয়ন্ত্রণের দাবি করা হয়েছিল, আজ পর্যন্ত তা হয়নি।'                                    
                       


রাজ্যপালের পদে ধনখড়ের নিয়োগের আগে গোটা বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়নি বলেও মনে করেন বিনীত। তাঁর কথায়,'লন্ডন ও দুবাইয়ে হাওয়ালার মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ও রাজনীতিকদের টাকাপয়সা জড়িয়ে রয়েছে এই মামলায়। এজন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। ২০১১ সালে কেন্দ্রীয় ভিজিলেন্স কমিশনের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিজেপি নেত্রী সুষমা স্বরাজ। তাঁর যুক্তি ছিল, কীভাবে সাংবিধানিক পদে দুর্নীতিগ্রস্তরা বসতে পারেন। মনে হচ্ছে, এ ব্যাপারে নরেন্দ্র মোদীকে উপযুক্ত আইনি পরামর্শ দেওয়া হয়নি। সে কারণে ভুল করে নিয়োগ করেছেন তিনি। নৈতিক দায় নিয়ে ইস্তফা দেওয়া উচিত জগদীপ ধনখড় ও আরিফ মহম্মদের।'    


 



সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন,'১৯৯৬ সালের হাওয়ালা জৈন কেলেঙ্কারির (Jain Hawala case)  চার্জশিটে ওঁর নাম আছে কি না, দেখুন। চার্জশিটে নাম ছিল।' সন্ধেয় রাজভবনে জবাব দেন রাজ্যপাল। তিনি জানান,'মুখ্যমন্ত্রীর মতো অভিজ্ঞ রাজনীতিক এই ধরনের উত্তেজনা তৈরি করবেন, এটা প্রত্যাশা করিনি। উনি ভুল তথ্য দিচ্ছেন। আপনাদের জিজ্ঞেস করা উচিত, কোন চার্জশিটের কথা বলছেন? আপনাদের বলি, রাজ্যপালের নাম চার্জশিটে ছিল না। জৈন মামলায় সকলেই নির্দোষ বলে রায় দিয়েছে আদালত।'  


আরও পড়ুন- ভুয়ো টিকাকাণ্ডে সিবিআই চেয়ে মামলা গ্রহণ হাইকোর্টের, কাল শুনানি


 (Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)