নিজস্ব প্রতিবেদন: সরকারি চাকরিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন বেসরকারি ক্ষেত্রে সফল ব্যক্তিরাও। বেসরকারি ক্ষেত্রের প্রতিভাবানদের সরকারি ক্ষেত্রে নিয়োগ করতে চালু করা হয়েছিল ল্যাটারাল এন্ট্রি পদ্ধতি। এর জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে ১০টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছিল। আর কেন্দ্রীয় সরকারের ‌সেইসব যুগ্ম সচিব পদে আবেদন পড়ছে ৬০৭৭।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মোদী সরকারের এই নতুন উদ্দোগে সাড়া মেলায় স্বভাবতই উৎসাহ বেড়েছে কেন্দ্রের। গুরুত্বপূর্ণ ‌যেসব ‌যুগ্মসচিব পদের জন্য আবেদনপত্র চাওয়া হয়েছিল তার মধ্যে রয়েছে, রেভিনিউ, ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস, ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স, এগরিকালচালার ও ফারমার্স অ্যাফেয়ার্স, রোড ট্রান্সপোর্ট ও হাইওয়ে, শিপিং, এনভায়রনমেন্ট, ক্লাইমেট চেঞ্চ, রিনিউয়েবল এনার্জি, সিভিল অ্যাভিয়েশন এবং কমার্স।


আরও পড়ুন-হরিদ্বারে গঙ্গায় ভাসানো হল অটল বিহারী বাজপেয়ীর চিতাভস্ম


ল্যাটারাল এন্ট্রি পদ্ধতির উদ্দেশ্য হল, বেসরকারি ক্ষেত্রে সফল প্রফেশনালদের সরকারি গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ করা। কোনও কোনও পদে ১১০০ আবেদন পড়েছে। কোনও পদে আবার আবেদন পড়েছে ২৯০টি। দেশে আইএএসদের জন্য ৬,৫০০ পদ রয়েছে। এর মধ্যে নিয়োগ করা হয়েছে ৫০০৪ জন। ফলে একটা ফাঁক রয়েই গিয়েছে। ওইসব ফাঁক কিছুটা পূরণ করতে পারবেন ‌যুগ্ম সচিবরা। ‌এরা কাজ করে থাকেন আইএএস, আইপিএস, আইএফএস, আইআরএসদের অধীনে।


বেসরারি ক্ষেত্র থেকে ‌যুগ্মসচিবদের নেওয়া হলে তা দেশের আমলা মহলে প্রভাব ফেলবে কিনা এনিয়ে একটা গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল। গত মাসে সরকার সংসদে বিষয়টি আলোচনার সময়ে ওই সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দেয়। এক্ষেত্রে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও মন্টেক সিং আহলুওয়ালিয়ার উদাহরণ দেওয়া হয়। এদের দুজনকেই ল্যাটারাল এন্ট্রি পদ্ধতিতে নিয়োগ করা হয়। দুজনেই সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। দুজনকেই অত্যন্ত সফল বলে মনে করা হয়।


আরও পড়ুন-কলকাতায় স্পিড লিমিট ভাঙলে এবার যেতে হতে পারে জেলে


সংসদে একটি লিখিত প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেন, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ১০টি ‌যুগ্মসচিব পদে বেসরকারি ক্ষেত্র থেকে নিয়োগের পেছনে কর্মীর অভাব ও নতুন প্রতিভাধরদের নিয়োগের কথা মাথায় রাখা হয়েছে। জিতেন্দ্র সিং বলেন, মনমোহন সিং, মন্টেক সিং আহলুওয়ালিয়া, বিজয় কেলকার, বিমল জালান, শঙ্কর আচা‌র্য, রাকেশ মোহন, অরবিন্দ ভিরমানি, অরবিন্দ পানাগারিয়া, অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যম, বৈদ্য রাজেশ, পরমেশ্বরণ আইয়ারকে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ করা হয়েছিল। এর কোনও বিরূপ প্রভাব পড়েনি। ফলে এক্ষেত্রে নিয়োগে কোনও সমস্যা নেই।