জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জলে কুমির ডাঙায় বাঘ। এই নিয়েই লড়াই করে চলেছে মানুষ। বিশেষত ভারতের মানুষ। যদিও এখন অরণ্যাঞ্চলের নিয়মনীতি কড়া ভাবে পালন করা হয়। পশুপাখিদের রক্ষা বা সুরক্ষার্থে নানা নিয়ম করা হয়েছে। জনজাতির সুরক্ষাকবচও রয়েছে। কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও কোথাও কোথাও প্রাণীদের কারণে বিপন্ন হয়ে উঠছে জনজীবন। মারা পড়ছে এলাকাবাসী। গোটা দেশে নয় বা কোনও একটি গোটা রাজ্যেও নয়, মাত্র একটি জেলায় বাঘের হামলায় মারা গিয়েছেন ৫০-এর বেশি মানুষ। এমনই ঘটেছে মহারাষ্ট্রে। সেখানে ২০২২ সালে বাঘ এবং চিতাবাঘের হামলায় শুধুমাত্র চন্দ্রপুর জেলাতেই মৃত্যু ঘটেছে মোট ৫৩ জনের!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Live-in-Relationship: 'লিভ ইন অবৈধ' দাবি তুলে মামলা, পাগলামি বলে খারিজ সুপ্রিম কোর্টের


মহারাষ্ট্রের বনমন্ত্রী সুধীর মুঙ্গনতিয়ার সোমবার মহারাষ্ট্রের বিধানসভায় এক বিবৃতিতে এই তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, শুধু মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুর জেলাতেই বাঘ ও চিতাবাঘের হামলায় মৃত্যু ঘটেছে ৫৩ জনের! ওই ৫৩ জনের মধ্যে ৪৪ জন বাঘের শিকার হয়েছেন। বাকিদের মৃত্যু ঘটেছে চিতাবাঘের আক্রমণে। 


আরও পড়ুন: Atal Pension Yojana: অটল পেনশন যোজনার টাকা ৫ হাজার থেকে বেড়ে হচ্ছে ১০ হাজার! সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল কেন্দ্র


চন্দ্রপুরের পাশাপাশি, বিদর্ভ অঞ্চলের আরও বেশ কয়েকটি জেলাতেও বাঘ-চিতাবাঘের হামলায় মৃত্যু ঘটার খবর জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের বনমন্ত্রী। সেই সঙ্গে তিনি এ-ও জানিয়েছেন যে, গত বছর বিদর্ভে বিভিন্ন কারণে মোট ১৪টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে!


তবে এটা নতুন কথা নয়। দীর্ঘ দিন ধরেই চন্দ্রপুর-সহ বিদর্ভের অরণ্যাঞ্চলে বাঘের হামলায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটে চলেছে। অন্তত স্থানীয় মানুষের অভিযোগ এমনই। সুপ্রিম কোর্ট ছাড়পত্র দেওয়ায় 'মানুষখেকো' বলে ঘোষিত হয়েছে অবনী নামের এক বাঘিনী। ২০১৮ সালের নভেম্বরে তাকে গুলি করে মেরেও ফেলা হয়েছিল। বিভিন্ন এলাকা মিলিয়ে দু'বছরে ১৩ জন মানুষ মেরে ফেলার অভিযোগ ছিল অবনীর বিরুদ্ধে। সেসময়ে রীতিমতো ত্রাস হয়ে-ওঠা ওই বাঘটিকে মেরে ফেলার দাবি তুলেছিলেন স্থানীয় গ্রামবাসীদের একাংশই। এবং সেরকই ঘটেছিল। ফের কি এরকম সিদ্ধান্ত নেবেন চন্দ্রপুর জেলার মানুষ? 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)