নিজস্ব প্রতিবেদন: শুক্রবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পি চিদাম্বরমকে। এ দিন শুনানি হওয়ার জন্য শেষমেশ তালিকাভুক্ত করতে পারেন তাঁর আইনজীবী কপিল সিব্বল। অযোধ্যা মামলার শুনানি শেষ হতেই এজলাস থেকে বেরিয়ে যান প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করার কোনও সুযোগ পাননি চিদাম্বরমের আইনজীবী। এরপর রেজিস্ট্রি অফিসে অপেক্ষা করেন কপিল সিব্বলরা। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের অফিসে গিয়ে দেখা করেন রেজিস্ট্রি অফিসার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী চিদাম্বরমের হাতে এখন আর রক্ষাকবচ নেই। লুক আউট জারি করেছে ইডি। যে কোনও মুহূর্তে গ্রেফতার হতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রে খবর, বেশ কয়েকটি জায়াগায় চিদাম্বরমের খোঁজ চালায় ইডি ও সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। চিদাম্বরম ‘বেপাত্তা’ বলে দাবি করেন তাঁরা।


আজ, দ্বিতীয়বারের জন্য বিচারপতি এন ভি রমনের কাছে দ্বারস্থ হলে কপিল সিব্বলকে বিচারপতি জানান, তাঁদের আবেদনে ত্রুটি রয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে পিটিশন নথিভুক্ত করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালান বর্ষীয়য়ান আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি বলেন, ত্রুটি শুধরে নেওয়া হয়েছে। পিটিশন নথিভুক্ত করা হোক। এরপর রেজিস্ট্রির আধিকারিককে তলব করেন বিচারপতি রমন। রেজিস্ট্রির তরফে জানানো হয়, লাঞ্চের আগেই ত্রুটি শুধরে নেওয়া হয়েছে।


আইনজীবী কপিল সিব্বলের আবেদন, তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করা সত্ত্বেও তাঁর মক্কলের বিরুদ্ধে লুক আউট জারি করা হয়েছে। তাই দ্রুত পিটিশন তালিকাভুক্ত করা জরুরী। জবাবে বিচারপতি রমন বলেন, পিটিশন তালিকাভুক্ত করার ক্ষমতা তাঁর নেই। একমাত্র প্রধান বিচারপতিরই ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু অযোধ্যা মামলা নিয়ে শুনানিতে ব্যস্ত থাকেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের সাংবিধানিক বেঞ্চ। শুনানির শেষে বিকেল ৪ টের সময় প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানানোর জন্য ছুটে যান কপিল সিব্বলরা।


আরও পড়ুন- দিল্লিতে কাশ্মীর নিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি, একমঞ্চে সিপিএম-কংগ্রেস-তৃণমূল


সকালে বিচারপতি রমনের এজলাসে চিদাম্বরমের মামলা ওঠে। কিন্তু মামলার শুনানির দিনক্ষণ নির্ধারণের জন্য কপিল সিব্বলদের প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠান তিনি। অযোধ্যা মামলা নিয়ে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ব্যস্ত থাকায় পিটিশন নথিভুক্ত করার সুযোগ পাননি কপিল সিব্বলরা। এ দিকে সিবিআই ও ইডি যৌথভাবে ক্যাভিয়েট দাখিল করে সুপ্রিম কোর্টে। যাতে তদন্তকারীদের কথা শুনে কোনও রায় না দিতে পারে সুপ্রিম কোর্ট।


আজ সকালে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে লুক আউট জারি করে ইডি। গতকাল থেকে তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে তদন্তকারীদের অভিযোগ। যদিও কপিল সিব্বলের দাবি, ফেরার হওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। গতকাল সন্ধেয় তাঁর অফিসেই চিদাম্বরম ছিলেন বলে কপিলের দাবি।