নিজস্ব প্রতিবেদন: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ উপেক্ষা করে বিজেপিশাসিত নানা রাজ্যে তাণ্ডব চালালো করণি সেনা। সিনেমা হল ভাঙচুর থেকে বাসে আগুন-কিছুই বাদ গেল না। অশান্তির ভয়ে রাজস্থান-গুজরাট-মধ্যপ্রদেশ-গোয়ায় পদ্মাবত না দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাল্টিপেক্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া। ছবির একাধিক দৃশ্য বাদ দেওয়ার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে আরও একটি মামলা দায়ের হয়েছে।








COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গুজরাট-রাজস্থান-হরিয়ানা-উত্তরপ্রদেশ। বিজেপি-শাসিত যে চার রাজ্য পদ্মাবতকে নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিল, সেই চার রাজ্যেই সবচেয়ে বেশি তাণ্ডব চালাল করণি সেনা। হরিয়ানার গুরুগ্রামে বাসে আগুন লাগিয়ে দেন করণি সেনার সমর্থকরা।মানেসরে টায়ার পুড়িয়ে অবরূদ্ধ করে দেওয়া হয় জাতীয় সড়ক। খোদ প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যে আমেদাবাদে সিনেমা হলের সামনে পর পর গাড়িতেআগুন লাগানো হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে শূন্যে গুলি চালায় পুলিস।




ছবি নিষিদ্ধ করার আর্জি খারিজ করে মঙ্গলবারই সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, ২০০ জন রাস্তায় নেমে দাবি জানাবে আর রাজ্য বলবে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা, এটা চলতে পারে না। সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পাওয়ার পর কেউ ছবি নিষিদ্ধ করতে পারে না। আগে ছবি দেখে তারপর ইতিহাস বিকৃত হয়েছে কিনা বলুন। পছন্দ না হলে আপনাদের সমর্থকদের ছবি দেখতে বারণ করুন। 


বারবার হুমকি দিয়েও অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কারনি সেনার প্রধান। প্রশ্ন উঠছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরও সরকারের প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয়েই কি বিজেপি-শাসিত রাজ্যে অবাধে তাণ্ডব চালিয়ে যেতে পারছে কারনি সেনা? রাহুল গান্ধীর কথায়, ঘৃণাকে ব্যবহার করে গোটা দেশকে জ্বালাতে চাইছে বিজেপি। 



পদ্মাবত নিয়ে বিক্ষোভের জেরে এদিন বন্ধ হয়ে যায় চিতোর দুর্গ। জম্মু, মেরঠে সিনেমা হলে ভাঙচুর চালানো হয়। মথুরায় আটকে দেওয়া হয় ট্রেন। বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে লখনউ, এটাওয়া, ইন্দোর-সহ নানা শহর। বন্ধ হয়ে যায় দিল্লি জয়পুর এবং দিল্লি-অজমের হাইওয়ে। পুলিস গুরুগ্রামের সব মদের দোকান বন্ধ করে দেয়। অশান্তির আশঙ্কায় গুজরাট-রাজস্থান এবং জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের বহু সিনেমা হল পদ্মাবত দেখানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে।