`পদ্মাবতী`র মুক্তি স্থগিতের নেপথ্যে রাজনীতি? জোর জল্পনা
পদ্মাবতী ছবির মুক্তি আপাতত পিছিয়ে দিল প্রযোজক সংস্থা ভায়াকম ১৮। নেপথ্যে রাজনীতি? উঠছে প্রশ্ন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পদ্মাবতী ছবির মুক্তি আপাতত পিছিয়ে দিল প্রযোজক সংস্থা ভায়াকম ১৮। টেক্যানিক্যাল কারণ দেখিয়ে ছবিটি ফেরত পাঠিয়েছে সেন্সর বোর্ড। এরইসঙ্গে ছবিটির মুক্তি আটকাতে মাঠে নেমেছে কয়েকটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। বিক্ষোভকারীদের থাকার ইঙ্গিত মিলেছে উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থান সরকারের পক্ষ থেকে।
প্রশ্ন উঠছে, চাপের মুখেই কি তাহলে নতিস্বীকার করতে বাধ্য হলেন নির্মাতারা? ভায়াকম ১৮ অবশ্য জানিয়েছে, 'আমরা আইন মেনে চলায় বিশ্বাসী। সেন্সর বোর্ড থেকে শীঘ্রই ছবিটির ছা়ডপত্র পাব বলে আশা করছি। তারপরই ছবি মুক্তির দিন ঘোষণা করা হবে।'
প্রযোজক সংস্থা এমনটা দাবি করলেও এর নেপথ্যে রাজনীতি রয়েছে বলে মত অনেকের। দীর্ঘদিন ধরে ছবি পরিচালনা করছেন সঞ্জয়লীলা বনশালী। তিনি ছবি পাঠাতে টেকনিক্যাল ভুল করেছেন, এটা অনেকেই মানতে নারাজ। সামনেই গুজরাট নির্বাচন। সেখানে করনি সেনা ও বজরং দল হাজার খানেক লোক নিয়ে জমায়েত হয়েছিল। সেখানকার কংগ্রেস ও বিজেপি নেতারা ইতিমধ্যেই দাবি তুলেছেন, ছবিটি গুজরাটের ভোটপর্ব মেটার পর মুক্তি দেওয়া হোক।
আরও পড়ুন- পিছিয়ে গেল 'পদ্মাবতীর' মুক্তি
এখানেই উঠছে প্রশ্ন, ১ ডিসেম্বর পদ্মাবতী মুক্তি পাচ্ছে না। মানে গুজরাটের ভোটের আগে ছবিটির কোনওভাবেই মুক্তির সম্ভাবনা নেই। ক্রিসমাসের সময় মুক্তি পাচ্ছে ভাইজানের 'টাইগার জিন্দা হ্যায়'। ওই ছবিটির সঙ্গে টক্কর নিতে চাইবেন না পদ্মাবতীর প্রযোজকরা। ফলে, জানুয়ারির আগে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়। অনেকেই বলছেন, রাজনীতির শিকার হল সঞ্জয়লীলা বনশালির 'পদ্মাবতী'। গুজরাট ভোটের জন্যই এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হল। এতে সরাসরি কেন্দ্রকে হস্তক্ষেপও করতে হল না। সাপও মরল লাঠিও ভাঙল না। আর বিরোধী কংগ্রেসও এনিয়ে সরব হতে পারছে না। পাছে হিন্দুবিরোধী তকমা সেঁটে যায়, তাই তারাও নীরব। ফলে এই একটা বিষয়ে মিলে গেল পদ্ম ও হাত, মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।