নিজস্ব প্রতিবেদন: রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে যে ভাষায় পর্যুদস্ত করলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, সেই পদক্ষেপকে ‘রাজনৈতিক’ বলে ব্যাখ্যা করলেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর। পাক বিরোধী সুষমার মন্তব্যে দেশের বৃহত্তর স্বার্থ খুঁজে পাচ্ছেন না এই প্রবীণ কংগ্রেস নেতা। আন্তর্জাতিক মঞ্চে লোকসভা নির্বাচনের ‘ভোটের প্রচার’ বলে শশীর কটাক্ষ। তিনি বলেন, “বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্যে এইটুকু স্পষ্ট দেশের রাজনৈতিক উত্তাপ জিইয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। বিজেপি ভোটারদের উদ্দেশেই তিনি বার্তা দিয়েছেন। বিশ্বের দরবারে ভারতে ভাবমূর্তি তুলে ধরতে পরিকাঠামো এবং সুসংহত বিষয় ছিল না।”


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- গণতন্ত্রের টুঁটি চেপে ধরছে মমতার সরকার, রাষ্ট্রপতিকে বললেন দাড়িভিটে নিহতদের পরিজনরা


উল্লেখ্য, রবিবার নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্র সঙ্ঘের সাধারণ সভায় বক্তৃতা রাখতে গিয়ে পাকিস্তানকে একহাত নেন সুষমা স্বরাজ। পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি অভিযোগ, সন্ত্রাসবাদে মদত দিচ্ছে ভারতই। এমনকি ২০১৪ সালে পেশোয়ার স্কুলে হামালার পিছনে ভারতে হাত থাকার অভিযোগ করেন কুরেশি। পাল্টা জবাবে সুষমা বলেন, পাকিস্তানই জঙ্গিদের ‘গৌরবান্বিত’ করছে। নিয়ন্ত্রণরেখায় জওয়ানদের নৃশংস খুন করছে। যে দেশে একাধিক জঙ্গি সংগঠন আন্তর্জাতিক তকমা পেয়েছে, তার দায়বদ্ধতা কীভাবে এড়িয়ে যায় তারা?


আরও পড়ুন- টুইটারে বাংলা হরফে নিজের নাম লিখলেন রাজনাথ সিং


উল্টে, কুরেশ অভিযোগ করেন, কুলভূষণ যাধবকে দিয়ে নাশকতা চালনোর ছক কষেছিল দিল্লি। উল্লেখ্য, প্রাক্তন নৌসেনা অফিসার কুলভূষণ যাধবকে মৃত্যুদণ্ড দেয় সে দেশের সেনা আদালত। এই রায়ের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে দ্বারস্থ হয় ভারত। তবে, শান্তি প্রক্রিয়ায় ভারতের পদক্ষেপের সমালোচনা করেন কুরেশি। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ‘অনুরোধে’ হওয়া বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে কুরেশি বলেন ‘তুচ্ছ’ কারণে বৈঠক বাতিল করেছে ভারত। পাল্টা জবাব দিয়েছেন সুষমাও। কাশ্মীরে জওয়ানদের নৃশংস হত্যা করা কোনও দেশের তুচ্ছ কারণ হতে পারে না।


রাষ্ট্র সঙ্ঘে ভারত-পাকিস্তানের মুখোমুখি বৈঠক হওয়ার কথা হয়। এই বৈঠকে আগ বাড়িয়ে উত্সাহ দেখিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কিন্তু কাশ্মীরে জওয়ান হত্যা এবং জঙ্গি বুরহান ওয়ানির ডাক টিকিট প্রকাশ করে উপত্যাকার জঙ্গিদের গৌরবান্বিত করছে বলে অভিযোগ তোলে ভারত। যার জেরে পাকিস্তানের সঙ্গে বৈঠক বাতিল করে ভারত।