কাশ্মীরে খতম জইশের মাসুদ আজহারের আত্মীয় ও পুলওয়ামা হামলার মূল চক্রী Mohammad Ismail
গোপন সূত্রের খবর পেয়ে শনিবার ভোরে পুলওয়ামার দাচিগামের জঙ্গল ঘিরে ফেলে নিরাপত্তা বাহিনী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পুলওয়ামা হামলার মূল চক্রী সাইফুল্লা ওরফে লম্বুকে খতম করল ভারতীয় সেনার ভিক্টর বাহিনী। নিহত জঙ্গি মহম্মদ ইসমাইল অলভি (Mohd Ismal Alvi) ওরফে লম্বু ও আদনান জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammed) প্রধান মাসুদ আজহারের আত্মীয়। শনিবার এনকাউন্টারে মারা গিয়েছে আরও এক জঙ্গি। তার পরিচয় জানা যায়নি।
জইশ-ই-মহম্মদের (Jaish-e-Mohammed) কার্যত প্রধান মুফতি আবদুল রউফ অসঘরের ব্যক্তিগত রক্ষী হিসেবে কাজ করত মহম্মদ ইসমাইল অলভি (Mohd Ismal Alvi) ওরফে ইব্রাহিম, লম্বা, লালা, লম্বু, আদনান। বর্তমান পাকিস্তানের বহাবলপুরে রয়েছে মাসুদ আজহার। তার আত্মীয় এই নিহত জঙ্গি। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ২০১৭ সালের মে মাসের গোড়ায় শাকারগড় সেক্টর দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ ইসমাইল। তার পর থেকে একাধিক সন্ত্রাসবাদী হামলা চালিয়েছে সে। উপত্যকায় স্থানীয়দের জঙ্গি সংগঠনে নিয়োগও করেছে। কাশ্মীরের আইজিপি বিজয় কুমার জানান,'সইফুল্লা ওরফে লম্বু একাধিক ঘটনায় জড়িত। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে অনুপ্রবেশ করেছিল। তার পর থেকে দক্ষিণ কাশ্মীরে সক্রিয় ছিল। তার বিরুদ্ধে ছিল ১৪টি এফআইআর। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুলওয়ামা হামলার মূল চক্রী সে।'
বিজয়কুমার আরও জানান,'পুলওয়ামা হামলায় ১৯ অভিযুক্তের মধ্যে খতম করা হয়েছে ৭ জঙ্গিকে। ধরা পড়েছে ৭জন। ৫ জঙ্গি এখনও পলাতক।'
ভারতে ঢোকার আগে বালাকোটের জঙ্গি শিবিরে প্রশিক্ষণ নিয়েছে ইসমাইল। গাড়ি-বোমা বিস্ফোরক তৈরিতে দক্ষ সে। পুলওয়ামা হামলার সময় তা ব্যবহার করা হয়েছিল। আফগানিস্তানে তালিবানদেরও গাড়ি-বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ দিয়েছিল ইসমাইল।
গোপন সূত্রের খবর পেয়ে শনিবার ভোরে পুলওয়ামার দাচিগামের জঙ্গল ঘিরে ফেলে নিরাপত্তা বাহিনী। তল্লাশি চালানোর সময় গুলি চালায় সন্ত্রাসবাদীরা। জবাব দেয় বাহিনী। গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় ইসমাইল অলভি ও আর এক জঙ্গির। ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় বাহিনীর কনভয়ের উপরে হামলা চালায় পাক সন্ত্রাসী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammed)। প্রাণ হারান ৪০ জওয়ান। ওই হামলার মূল অভিযুক্ত এই লম্বু। এনআইএ চার্জশিটেও তার নাম ছিল।
আরও পড়ুন- টিকায় বঞ্চিত বাংলা? ২ বিজেপি শাসিত রাজ্যকে 'সুবিধা', স্পষ্ট কেন্দ্রের তথ্যেই