ইমরান প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরই সন্ত্রাস বেশি হচ্ছে, অভিযোগ বিএসএফ প্রধানের
কে কে শর্মার অভিযোগ, সীমান্তে কোনও পরিবর্তন আসেনি। এখন আবার ব্যাটে অতিসক্রিয়তা লক্ষ করা যাচ্ছে। যেটা আগে কখনই ছিল না। শর্মা এ-ও জানান, পাকিস্তান সেনার গতিবিধির উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। পাকিস্তান এখন নতুন নীতি নিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে সন্ত্রাস চালানোর চেষ্টা করছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: ইমরান খান প্রধানমন্ত্রীর হওয়ার পর পাকিস্তান আরও আগ্রাসী হয়েছে বলে জানালেন বিএসএফ ডিরেক্টর জেনারেল কে কে শর্মা। গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিএসএফ হেড কনস্টেবল নরেন্দ্র সিংয়ের হত্যার প্রসঙ্গ টেনে কে কে শর্মা বলেন, এ ধরনের ঘটনা ঘটছে ইমরান প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরই। পাক বর্ডার অ্যাকশন টিম (ব্যাট)-কে কাঠগড়ায় দাঁড় করান তিনি।
আরও পড়ুন- বিরোধী স্বর চাপা দিতেই ৫ সমাজকর্মীকে গ্রেফতার, ভিমা-কোরেগাঁও মামলায় মন্তব্য বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের
কে কে শর্মার অভিযোগ, সীমান্তে কোনও পরিবর্তন আসেনি। এখন আবার ব্যাটে অতিসক্রিয়তা লক্ষ করা যাচ্ছে। যেটা আগে কখনই ছিল না। শর্মা এ-ও জানান, পাকিস্তান সেনার গতিবিধির উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। পাকিস্তান এখন নতুন নীতি নিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে সন্ত্রাস চালানোর চেষ্টা করছে। এর মোক্ষম জবাব দ্রুত পাবে পাকিস্তান, হুঁশিয়ারি করেন কেকে শর্মা। বিএসএফ কর্তার সুরেই সেনা প্রধান বিপিন রাওয়াত-ও জানিয়েছেন, প্রয়োজনে আবার সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পথে যাবে ভারত। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে ২০১৬ সালে এ দিনেই সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে সেনা। জওয়ানদের এই দুঃসাহসিক অভিযানকে স্মরণ করে দেশজুড়ে পালিত করা হচ্ছে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক দিবস’।
আরও পড়ুন- 'আয়াপ্পা ব্রহ্মচারী, ব্যক্তিগত পরিসর চাই', রায় পর্যালোচনার আবেদন করতে চলেছে সবরীমালা বোর্ড
উল্লেখ্য, ক্ষমতায় আসার পরই ইমরান খান সন্ত্রাস এবং কাশ্মীর ইস্যুতে জানিয়েছিল, ভারত যদি এক পা এগোয়, দু’পা এগোবে পাকিস্তান। নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসঙ্ঘের অনুষ্ঠানের ফাঁকে ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক আলোচনার কথা হয়। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অনুরোধেই ওই বৈঠকের সাড়া দিয়েছিল সাউথ ব্লক। কিন্তু কাশ্মীরে জওয়ানদের নারকীয় হত্যা এবং জঙ্গি বুরহান ওয়ানির নামে ডাক টিকিট প্রকাশ করে ‘গৌরবান্বিত’ করায় পাকিস্তানের সঙ্গে বৈঠক তড়িঘড়ি বাতিল করে কেন্দ্র। জানিয়ে দেওয়া হয়, পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির সঙ্গে কোনও সাক্ষাত্ করবেন না বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।
বৈঠক বাতিল হওয়ায় নরেন্দ্র মোদী সরকারের সমালোচনায় নামে পাকিস্তান। ভারতের এই সিদ্ধান্তকে দূরদৃষ্টতার অভাব বলে অ্যাখ্যা দেন পাক প্রধানমন্ত্রী। যদিও এই বৈঠক বাতিলে কূটনৈতিক জয়ই দেখছে বিজেপি সরকার।