নিজস্ব প্রতিবেদন— জম্মু—কাশ্মীরের কেরন সেক্টরে মৃত পাঁচ জঙ্গিকে ভারতের সীমান্তে ঢুকতে সাহায্য করেছিল পাকিস্তান। আরও একবার পাক সেনার কুকীর্তি সামনে এল। মৃত পাঁচ জঙ্গির কাছ থেকে যে সব জিনিসপত্রে পাওয়া গিয়েছে সেগুলিতে লেখা রয়েছে— মেড ইন পাকিস্তান। ভারতীয় সেনার তরফে ওইসব জিনিসপত্রের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। বেশিরভাগ খাবারের প্যাকেটে লেখা রয়েছে মেড ইন পাকিস্তান। ভারতীয় সেনার আধিকারিক নিশ্চিত, এই পাঁচ জঙ্গি ভারতে নাশকতার বড়সড় নাশকতার ছক কষেছিল। আর তাদের ভারতীয় সীমান্তে অনুপ্রবেশে সাহায্য করেছিল পাকিস্তানের সেনা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কাশ্মীরের কুপওয়ারা অঞ্চলের দূর্গম পার্বত্য এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই পাঁচ জঙ্গিকে খতম করেছিল ভারতীয় সেনার স্পেশাল ফোর্স—এর জওয়ানরা। কিন্তু সংঘর্ষে প্রাণ হারান ভারতীয় সেনার পাঁচ বীর জওয়ান। পয়লা এপ্রিল থেকে অপারেশন 'রান্দোরি বেহাক'-এ পাহাড়জুড়ে তল্লাশি অভিযানে নামে সেনাবাহিনীর অন্যান্য টিমও। কুপওয়ারার ওই এলাকায় প্রচণ্ড বরফ পড়ছিল। ফলে জঙ্গিদের ডেরা পর্যন্ত পৌঁছতে পারছিলেন না সেনা জওয়ানরা। এর পরই হেলিকপ্টারের সাহায্যে ভারতীয় সেনার প্যারাট্রুপারদের ওই অঞ্চলে নামানো হয়। লস্কর জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেন জওয়ানরা। এর পর তাদের খুঁজে বের করে নিকেশ করে স্পেশাল ফোর্স—এর জওয়ানরা। শহিদ হন ভারতীয় সেনার পাঁচ বীর জওয়ান।


আরে পড়ুন— কাজ হয়েছে ম্যাজিকের মতো, করোনা মোকাবিলায় ভিলওয়ারা মডেল চালু করতে পারে সরকার!


জঙ্গিদের সঙ্গে প্রচুর অস্ত্র ছিল বলে জানানো হয়েছে ভারতীয় সেনার তরফে। এছাড়া প্রচুর পরিমাণ শুকনো খাবার ও অন্য সামগ্রীও পাওয়া গিয়েছে। চিপস, চকোলেট থেকে শুরু করে একাধিক খাবারের প্যাকেটে লেখা ছিল— মেড ইন পাকিস্তান। জঙ্গিদের খতম করার এই অভিযানে যুক্ত ছিলেন সার্জিকাল স্ট্রাইকে অংশগ্রহণ করা হিমাচল প্রদেশের সুবেদার সঞ্জীব কুমার। এছাড়া ছিলেন সার্জিকাল স্ট্রাইকে অংশ নেওয়া আরেক প্যারাট্রুপার অমিত কুমার। তাঁর শরীরে ১৫টি গুলি বিঁধে ছিল। তবে শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন তিনি।