নিজস্ব প্রতিবেদন: পাকিস্তানের আর স্বভাব বদলাল না। করোনাভাইরাস নিয়ে সার্কভূক্ত দেশগুলির বৈঠকেও ঘুরিয়েফিরিয়ে সেই কাশ্মীর নিয়ে চলে এল ইসলামাবাদ। তার পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারত সরকার। সূত্রের খবর, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ভিডিয়ো-বৈঠকে পাকিস্তানের এমন আচরণ অভদ্রতা বলেই মনে করছে নয়াদিল্লি।      


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পাকিস্তানকে কাশ্মীর নিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ দিতে চায় না নয়াদিল্লি। ভারত সরকার সূত্রে খবর, ''স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে পাঠিয়েছে পাকিস্তান। যিনি কথা বলতেই অস্বস্তি বোধ করছিলেন। তাঁকে একটা স্লিপ দেওয়া হয়েছিল। এটা অভদ্রতা। মানবিক বিষয় নিয়ে আলোচনায় রাজনীতি করছে পাকিস্তান।''                 



করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় সার্কভূক্ত দেশগুলিকে নিয়ে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের ডাক দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর উদ্যোগকে সমর্থন দিয়েছেন সার্কের সদস্য দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানরা। তার মধ্যে ছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও। এদিন বৈঠকে গরহাজির থাকলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। পাঠিয়ে দিয়েছেন তাঁর স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষ সচিব জাফর মির্জা। বৈঠকে যখন নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ সার্কের সদস্য দেশগুলি তখন কাশ্মীর নিয়ে সেই ভাঙা রেকর্ড বাজাল পাকিস্তান। জাফর মির্জা বলেন, জম্মু-কাশ্মীরে করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। এটা উদ্বেগের ব্যাপার। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে আপত্কালের সময়ে ওই অঞ্চল থেকে যাবতীয় নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হোক। 



 


রবিবার ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ে ছিলেন শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি গোতাবেয়া রাজাপক্ষে, মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মহম্মদ সোলিথ, নেপালি প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি, ভুটানের প্রিমিয়ার লোটায় শেরিং, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আফগান রাষ্ট্রপতি আসরাফ গনি ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সহায়ক জাফর মির্জা। সেখানে নরেন্দ্র মোদী বলেন,''কোভিড ১৯ আপত্কালীন তহবিল গঠনের প্রস্তাব দিচ্ছি। সদস্য দেশগুলি স্বেচ্ছায় অর্থদান করতে পারে। শুরুটা ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়ে করতে পারে ভারত। চিকিত্সক ও বিশেষজ্ঞদের দল তৈরি রেখেছি ভারতে। পরীক্ষা ব্যবস্থার সামগ্রী ও অন্যান্য সরঞ্জামও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আপনাদের দরকার পড়লে তাঁরা পৌঁছে যাবেন।''


আরও পড়ুন- করোনাগ্রস্ত উহানে ২৩ বাংলাদেশি পড়ুয়াকে উদ্ধার, মোদীকে ধন্যবাদ হাসিনার