ওয়েব ডেস্ক: সালটা ১৯৮০। ইন্দিরা গান্ধী দিল্লির মসনদে প্রত্যাবর্তন করেছেন। এদিকে, পাকিস্তান তৈরি হচ্ছে পরমাণু অস্ত্র তৈরিতে। খবর এল পরমাণু অস্ত্র তৈরি থেকে প্রতিবেশী পাকিস্তান আর মাত্র এক ধাপ দূরে। পাকিস্তান পরমাণু বোমা তৈরির কাজে লাগা প্লুটোনিয়াম ও উইরেনিয়াম উত্‍পাদন করতে শুরু করেছে। পড়শির 'দাঁত নখ' দেখে পাক পরমানুকেন্দ্রগুলির ওপর হামলার পরিকল্পনা করেন তত্‍কালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। এমনই ১২ পাতার এক চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট পেশ করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। তবে ভারত শেষপর্যন্ত ওয়েট অ্যান্ড সি  নীতিই মেনে চলবে বলেই ওই রিপোর্টে আশাপ্রকাশ করা হয়। বাস্তবেও তত্‍কালীন প্রধানমন্ত্রী সত্যিই তেমন কোনও হামলার নির্দেশ দেননি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সীমান্তে লাগাতার অস্ত্রবিরতি লঙঘনের মধ্যেই নতুন ইন্ধন। পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফের সাম্প্রতিক হুঁশিয়ারি প্রয়োজনে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করবে পাকিস্তান। পরমাণু অস্ত্র শুধু দেখানোর জন্য নয়, প্রতিরোধের জন্য।
 
প্রায় সাড়ে তিন দশক আগে কি এমন কিছুই আঁচ করেছিলেন তত্‍কালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী? পাক পরমানুকেন্দ্রগুলির ওপর হামলার পরিকল্পনা করেন তিনি। সম্প্রতি পোস্ট করা CIA-র বারো পাতার  রিপোর্টে উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য


সিআইএ রিপোর্ট
---------


১৯৮০ সালে ক্ষমতায় ফেরার পর পাক পরমাণু কেন্দ্রগুলির ওপর ভারতীয় সেনা অভিযানের পরিকল্পনা করেন ইন্দিরা গান্ধী


পাকিস্তানকে আমেরিকার তরফে  এফ  সিক্সটিন যুদ্ধবিমান সরবরাহ করার সিদ্ধান্তের নিরিখেই ওই পরিকল্পনা  


পাকিস্তানের পরমাণু শক্তিকাঠামো ধ্বংস করতেই ওই পরিকল্পনা।


পাকিস্তানে তখন পরমাণু ক্ষেপনাস্ত্র সংক্রান্ত তত্‍পরতা তুঙ্গে। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই সিআইএ রিপোর্ট--


থর মরুভূমিতে মাটির নীচে পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করা হয়।


১৯৮১র মে মাস নাগাদ ৪০ কিলোটন বিস্ফোরণের প্রস্তুতিও সেরে ফেলা হয়।


পাকিস্তান  পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটালে এক সপ্তাহের মধ্যেই ভারতের তরফেও অনুরূপ বিস্ফোরণ ঘটানোর কথা ভাবা হয়।