ওয়েব ডেস্ক : একদিকে মুখ্যমন্ত্রিত্বের আশায় জল! তার উপর জেলে যেতে না যেতেই আরও প্রকট হয়ে উঠল শশীকলা-পন্নীরসেলভম দ্বন্দ্ব। দলের প্রেসিডিয়াম চেয়ারম্যান ই মধুসুদননকে সঙ্গে নিয়ে এবার খোদ শশীকলাকেই দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিল পন্নীরসেলভম শিবির। সেই সঙ্গে AIADMK-র সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকেও শশীকলাকে সরিয়ে দেওয়া হল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গতবছর ৫ ডিসেম্বর তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার মৃত্যুর পর রাজ্যের প্রশাসনিক ভার যায় পন্নীরসেলভমের কাঁধে। কিন্তু অভিযোগ, আম্মার অবর্তমানে দলে নিজের শক্তি প্রয়োগ করে পন্নীরসেলভমকে গদিচ্যুত করেন শশীকলা। এমনকী নিজে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার চেষ্টায় বেশকিছু কৌশলও অবলম্বন করেন। বিধায়কদের একটি রিসর্টেও আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে চিন্নাম্মার বিরুদ্ধে। এদিকে, পন্নীরসেলভম শিবিরে সমর্থন বাড়তে থাকায় চাপ বাড়ে শশীকলার উপর।


আরও পড়়ুন- ৪ বছর কারাদণ্ড শশীকলার, আম্মার আসনে বসা হল না চিন্নাম্মার


পরিস্থিতি যখন কিছুটা চিন্নামার অনুকূলে, ঠিক তখনই ২১ বছরের পুরনো দূর্নীতি মামলার রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। দোষী সাব্যস্ত শশীকলার ৪ বছরের জেল হয়। মুহূর্তের মধ্যে ভোলবদল, ব্যাটন চলে আসে পন্নীরসেলভমের দিকে। যদিও, শেষরক্ষা হয় না। মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড় থেকে পন্নীরসেলভমকে সরাতে, এরপরই তাঁকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করেন শশীকলা। সেই জায়গায় তাঁর অনুগামী পালানিস্বামীকে AIADMK-র পরিষদীয় নেতা নির্বাচন করেন চিন্নাম্মা।


গতকালই রাজ্যপালের ডাকে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন পালানিস্বামী। এদিকে আজই দলের সাধারণ সম্পাদকের পদ ও সাধারণ সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হল শশীকলাকে। বহিষ্কার করল পন্নীরসেলভম শিবির।