ঠিক সময়ে রেঁধে খেতে দিতে না পারার `শাস্তি`! ১২ বছরের মেয়েকে মেরে জঙ্গলে পুঁতে দিল বাবা-মা
কাজ থেকে ঘরে ফিরে তারা দেখে যে, মেয়ের তখনও রান্না হয়নি। ওদিকে বাড়ির গবাদি পশুদেরও খেতে দেওয়া হয়নি। এতেই ক্ষেপে যায় বাবা, মা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সময় মত রেঁধে খেতে দিতে পারেনি ১২ বছরের মেয়ে! তাই কিশোরী মেয়েকে খুন করে তার দেহ জঙ্গলে পুঁতে দিল বাবা-মা। হাড়হিম করে দেওয়া এই ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিশগড়ের সরগুজা জেলায়। বাবা-মায়ের এহেন কাণ্ডে কার্যত ঘুম উড়ে গিয়েছে তদন্তকারীদের। এদিকে রান্না করতে না পারার 'শাস্তি' হিসেবে মেয়েকে খুনের পর নিজেরাই থানায় গিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করে বাবা-মা। তারপর আবার ২৬ অগস্ট থানায় গিয়ে ওই কিশোরীর বাবা পুলিসকে জানায়, লিব্রা জঙ্গলে তাদের মেয়ের পচাগলা দেহ পড়ে রয়েছে। পোশাক ও পায়ের চটি দেখে মেয়ের দেহ শনাক্ত করেছে সে।
পরে পুলিস অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। ধৃতদের নাম বিশ্বনাথ এক্কা ও তার স্ত্রী দিলসা এক্কা। পুলিসি জেরায় অভিযুক্তরা তাদের দোষ স্বীকার করে নিয়েছে। পুলিসি জেরায় ধৃতরা জানায়, মেয়ে সময়মতো রান্না করে না দেওয়াতেই রাগের মাথায় তারা এই ঘটনা ঘটায়। কাজ থেকে ঘরে ফিরে তারা দেখে যে, মেয়ের তখনও রান্না হয়নি। ওদিকে বাড়ির গবাদি পশুদেরও খেতে দেওয়া হয়নি। এতেই ক্ষেপে যায় বাবা, মা। ১২ বছরের ওই কিশোরীকে বেধড়ক মারধর করে বাবা। ক্রুদ্ধ বাবা প্রথমে একটি লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করে ছোট্ট মেয়েকে। মারের চোটে মাটিতে পড়ে যায় ওই কিশোরী। তখনই তার মাথা একটি পাথরে ঠুকে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই কিশোরীর। ঘটনার সময় ঘরের উপস্থিত ছিল মা-ও। তারপরই সবার অজান্তে জঙ্গলে গিয়ে দেহ পুঁতে দেয় বাবা-মা। স্বামীর সঙ্গে জঙ্গলে গিয়ে গর্ত খুঁড়ে মেয়ের দেহ পুঁতে দিতে স্বামীকে সাহায্য করে স্ত্রী।
আরও পড়ুন, Punjab: বিছানা থেকে ওঠার ক্ষমতা নেই, মৃত ছেলের সঙ্গেই সহ-বাস বৃদ্ধ বাবার!
পুলিস সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটে জুন মাসে। মেয়েকে খুন করে পুঁতে দেওয়ার পর ওই দম্পতি মেয়ের নিখোঁজ ডায়েরি করতে আসেন থানায়। তারপর থেকে ২ মাস ধরে ওই নাবালিকাকে তন্নতন্ন করে খুঁজলেও তাঁর নাগাল পায়নি পুলিস। তারপরই 'ভুয়ো' মিসিং ডায়েরি করে পরিবার পরিবার। শেষে ২৬ অগস্ট নিজেই থানায় গিয়ে দেহ পাওয়া যাওয়ার কথা জানায় বাবা বিশ্বনাথ এক্কা। এরপর সোমবার পুলিস গিয়ে জঙ্গল থেকে মেয়েটির পচাগলা দেহ উদ্ধার করে। ওই কিশোর পরনে ছিল ফ্রক, পায়ের জুতো। পোশাক আর পায়ের জুতো দেখেই ওই কিশোরীকে শনাক্ত করে তার বাবা। ধৃত দম্পতির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির খুন ও অপরাধের তথ্য প্রমাণ লোপাট সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিস।