ওয়েব ডেস্ক: লোকসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের জবাবি ভাষণে কংগ্রেসকে একহাত নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশভাগ থেকে দেশের সমকালীন অবস্থা, সব কিছুর জন্য নাম না করে কাঠগড়ায় তুললেন নেহেরু-গান্ধী পরিবারকে। এদিন প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের সময় সংসদে লাগাতার স্লোগান দিতে থাকেন কংগ্রেস সাংসদরা। এমনকী অনেক সময় অশালীনভাবে আওয়াজ করতেও শোনা ‌যায় তাদের। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতা দখলের তাড়াহুড়োয় দেশভাগ করেছে কংগ্রেস। দেশভাগের ফলে যে বিষবৃক্ষের বীজ পোঁতা হয়েছিল তার কুফল এখনো ভুগছে দেশ। মোদীর কথায়, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল প্রধানমন্ত্রী হলে দেশভাগ রোখা ‌যেত। কিন্তু একটি পরিবারের প্রতি আনুগত্য প্রমাণের প্রতি‌যোগিতায় তা করতে দেননি কংগ্রেস নেতারা। 




লোকসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের বক্তব্যের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নেহেরু ভারতকে গণতন্ত্র দিয়েছেন এই তথ্য ঠিক নয়। দীর্ঘদিন ধরেই গণতন্ত্র এই সভ্যতার আবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল। 



এদিন অন্ধ্রপ্রদেশের শাসকদল তেলুগু দেশম পার্টির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন প্রধানমন্ত্রী, সঙ্গে মনে করান, কী ভাবে হায়দরাবাদ বিমানবন্দরে নেমে অন্ধ্রপ্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করেছিলেন রাজীব গান্ধী।


এদিন রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস সভাপতি পদে বসা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‌যে দলে সভাপতি নির্বাচনে একটি পরিবারের সদস্য ছাড়া অন্য কেউ মনোনয়ন পেশ করতে পারে না তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না।


আরও পড়ুন - পথ দুর্ঘটনায় আহত প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী ‌যশোদাবেন


কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে কর্মসংস্থান তৈরিতে ব্যর্থতার ‌যে অভি‌যোগ উঠেছে তা খণ্ডন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পশ্চিমবঙ্গ, কর্ণাটক-সহ অবিজেপিশাসিত রাজ্যগুলি কোটি কোটি কর্মসংস্থান হয়েছে বলে দাবি করছে। তাহলে কি তারা মিথ্যে বলছে? একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের ‌যুবারা এখন আর চাকরি চাইতে ‌যায় না। তারা ব্যবসা করতে চায়। তাই ৩ কোটি ‌যুবাকে বিনা গ্যারান্টিতে ঋণ দিয়েছে সরকার। 


এদিন প্রধানমন্ত্রীর গলায় ছিল নির্বাচনী ঝাঁঝ। নিজের সরকারের একের পর এক সাফল্যের কথা তুলে ধরে কংগ্রেসকে কোণঠাসা করার কোনও চেষ্টা এদিন তিনি ছাড়ননি। ওদিকে কংগ্রেসের গলায় লাগাতার ছিল 'ডায়লগবাজি বন্ধ করো‍'।