নিজস্ব প্রতিবেদন: সোমবার থেকে ১৮ দিনের জন্য বসছে সংসদের বাদল অধিবেশন। মোট ৪৫টি বিল এবার সংসদে উঠছে। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় হল, লাদাখে চিনা আগ্রাসন নিয়ে তোলপাড় করতে পারে বিরোধিরা। সেক্ষেত্রে সরকার কতটা কী বলবে সেটাই এখন দেখার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- যে ভাবে মেরে গাছে ঝোলানো হচ্ছে, বোঝা যাচ্ছে একটা সিরিজ চলছে, গোঘাট কাণ্ডে তোপ দিলীপের


সূত্রের খবর, লাদাখে ভারত-চিন উত্তেজনা নিয়ে সংসদে বিবৃতি দিতে পারে সরকার। কারণ বিরোধীরা যেভাবে সরকারের ওপরে চাপ সৃষ্টি করে আসছে তাতে লাদাখ নিয়ে কিছু বলা না হলে প্রবল হইহট্টগোলের সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে।


২০১৭ সালে খানিকটা হলেও লাদাখের মতোই উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল ডোকা লা-য়। সেবার সরকার সংসদে এনিয়ে কিছু বলেনি। তা নিয়ে তুমুল হইচই হয় সংসদে। সরকার যে সেই পথে হাঁটবে না তা ইঙ্গিত দিয়েছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী।


আজ বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটির মিটিংয়ে মিলিত হন প্রহ্লাদ যোশী। সেখানেই তিনি ওই ইঙ্গিত দেন। ওই বৈঠকের পর তিনি বলেন, সরকার যে কোনও ইস্যুই সংসদে আলোচনা করতে প্রস্তুত। মঙ্গলবার সংসদীয় কমিটির মিটিং হবে। চিন-ভারত উত্তেজনা স্পর্শ্বকাতর বিষয়। এনিয়ে সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে।


আরও পড়ুন-দিল্লি পুলিস আরএসএসের উইং হিসাবে কাজ করছে, বিস্ফোরক অধীর চৌধুরি


গত ১৫ জুন গালওয়ানে চিনা সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় জওয়ান শহিদ হন। তার পর থেকেই কংগ্রেস প্রশ্ন তুলছিল, সরকার বলুক চিনা সেনা ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকেছিল কিনা। সরব হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী ও কপিল সিব্বল। রাহুল গান্ধী এমনও বলেন, চিন আমাদের জমি দখল করেছে। ভারত সরকার কী করছে! নাকি সবটাই ওপরওয়ালার ওপরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।


প্রসঙ্গত, গালওয়ানের পর থেকে উত্তেজনা বেড়েছে বই কমেনি।  কয়েকদিন আগেই প্যাংগং লেকের দক্ষিণ ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢোকার চেষ্টা করে চিনা সেনা। ভারতীয় সেনা সেই চেষ্টা ভেস্তে দেয়।