ওয়েব ডেস্ক: বারবার সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপের পরেও থামানো গেল না অশান্তি। আজ সারা দিন পাতিয়ালা হাউস কোর্টে যা চলল তাতে ক্ষুব্ধ শীর্ষ আদালত। ভয় আর আতঙ্কের অভূতপূর্ব পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল আদালত চত্বরে , মনে করছেন কপিল সিব্বব সহ সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিশনাররা। পাতিয়ালা হাউস কোর্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে  দিনের শুরুতেই  নির্দেশ দিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত। তার পরেও বুধবার নজিরবিহীন হাঙ্গামার সাক্ষী থাকল  পাতিয়ালা হাউস কোর্ট।কি হচ্ছে  পাতিয়ালা হাউস কোর্টে? শীর্ষ আদালতের সে প্রশ্নের  জবাব দিতে পারেননি দিল্লি পুলিসের কৌসুলি অজিত সিনহা। এর পরেই  পাতিয়ালা হাউস আদালতের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ছয় কমিশনার নিযুক্ত করে শীর্ষ আদালত। এরই  মধ্যে আদালতে পেশ করার সময় আক্রমণের মুখে পড়েন কানহাইয়া কুমার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আদালতে গিয়ে চরম বিশৃঙ্খলার সাক্ষী হন কপিল সিব্বল, দুষ্মন্ত দাভে , এ ডি এন রাওসহ আইনজীবীরা।স্লোগান ওঠে কপিল সিব্বলের বিরুদ্ধে। কানহাইয়া কুমার ও তাঁর আইনজীবীদের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রতিনিধিরা। পরে তাঁরা জানান, পাতিয়ালা হাউস কোর্টে ভয় এবং আতঙ্কের অভূতপূর্ব পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল এদিন। মারধর করা হয়েছে কানহাইয়া কুমারকে। পুলিস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে  ব্যর্থ হয়েছে।


কানহাইয়া সুপ্রিম কোর্টের প্রতিনিধিদের জানিয়েছেন গোটা ঘটনায় তিনি সন্ত্রস্ত। পুলিসি নিরাপত্তা না থাকলে তাঁরাও আক্রান্ত হতেন, এমনটাই মনে করছেন এই আইনজীবীরা। এর পরেই কানহাইয়া কুমারকে দোসরা মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। কানহাইয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যাক্তিগত ভাবে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দিল্লির পুলিস কমিশনারকে। পাটিয়ালা হাউস কোর্টের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে দিল্লি পুলিস কমিশনারকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। পাটিয়ালা কোর্টের  পরিস্থিতি কী, তা দশমিনিটের মধ্যে দিল্লি পুলিসকে জানাতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রয়োজনে কমিশনার নিয়োগ করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে শীর্ষ আদালত। শুধু তাই নয়, আদালত কক্ষে গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের কথাও বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।JNU-ছাত্র সংসদ সভাপতি কানাইয়া যে দুজনকে চিহ্নিত করে দেবে, সেই দুজন ছাত্র  ও অধ্যাপক শুনানির সময় উপস্থিত থাকতে পারবেন বলেও জানিয়েছে আদালত।


দোসরা মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠানো হল কানহাইয়া কুমারকে। কানহাইয়াকে নিরাপদে জেলে পৌছনোর নির্দেশ আদালতের। আদালতের নির্দেশ মানা হল কিনা , তা নিয়ে আগামী কাল সকালের  মধ্যে জেল সুপার এবং দিল্লি পুলিস কমিশনারকে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ। আজ আদালত চত্বরেই আক্রান্ত হন কানহাইয়া কুমার। আদালতে সে কথা জানান তিনি নিজেই।  এর আগে আজ আদালতে ফের আক্রান্ত হন আইনজীবী ও সাংবাদিকদের একাংশ।  হামলায় জড়িত ছিলেন আইনজীবীদেরই একাংশই। এখবর সুপ্রিম কোর্টে পৌছতেই পাতিয়ালা হাউস কোর্টের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে প্রবীণ আইনজীবীদের এক প্রতিনিধি দল পাঠায় শীর্ষ আদালত। প্রতিনিধি দলে ছিলেন কপিল সিব্বল, দুষ্মন্ত দাভে , এ ডি এন রাওসহ আইনজীবীরা।  পাতিয়ালা কোর্টে পৌছতেই  বিক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা। স্লোগান ওঠে কপিল সিব্বলের বিরুদ্ধে।