বিহারে করোনায় মৃতের সংখ্যা গোপন করা অবৈধ কাজ, নীতীশ সরকারকে ভৎর্সনা আদালতের
শনিবার আদালতের তরফে বলা হয়েছে যে সরকারের স্বাস্থ্য পোর্টাল থেকে জন্ম-মৃত্যুর পরিসংখ্যান সবেতেই `অস্বচ্ছতা` রয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনায় মৃত্যু নিয়ে সঠিক তথ্য প্রকাশ করছে না বিহার সরকার সম্প্রতি এমনই অভিযোগ উঠেছিল নীতীশ কুমার সরকারের বিরুদ্ধে। শনিবার আদালতের তরফে বলা হয়েছে যে সরকারের স্বাস্থ্য পোর্টাল থেকে জন্ম-মৃত্যুর পরিসংখ্যান সবেতেই 'অস্বচ্ছতা' রয়েছে। যদিও সরকারের এই কাজকে অবৈধ হিসেবেই উল্লেখ করেছে পাটনা হাই কোর্ট।
দেখা গিয়েছে ২০১৮ সালের পর থেকে বিহারের স্বাস্থ্যে বিভাগের ডিজিটাল পোর্টাল এখনও আপডেট করা হয়নি।। হাইকোর্টের তরফে সাফ জানান হয় যে যে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে অবশ্যই এই জাতীয় ডেটা প্রকাশ করতে হবে।
আদালতের নির্দেশ সাফ জানান হয়েছে যে বিহারের মানুষের সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে কোভিডে কতজনের মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে সেই পরিসংখ্যান জানা। সম্প্রতি একটি বিতর্ক উঠে এসেছিল যেখানে বলা হয়, গত ৫ মাসে বিহারে যত মানুষের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে ৭০ হাজার মানুষের মৃত্যুর কোনও কারণ সরকারি রেকর্ডে নেই। এরপর নীতীশ সরকারের বিরুদ্ধে করোনায় মৃত্যু সংখ্যা গোপনের অভিযোগ ওঠে।
আরও পড়ুন, করোনায় মৃতের পরিবারকে ৪ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব নয়, সুপ্রিম কোর্টকে জানাল কেন্দ্র
শনিবার পাটনা হাইকোর্টের তরফে ১৯৭৫ সালের সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, "গোপনীয়তাকে ঢেকে রাখা জনগণের স্বার্থ নয়। সরকারের এই কাজ কখনই কাঙ্খিত নয়, বৈধও নয়।" এর পরই আদালত জানায়, "কোভিডের সময় বিহারে কতজনের মৃত্যু হয়েছে, রাজ্যের দশ কোটিরও বেশি লোকের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তা জানার অধিকার আছে।" এই প্রেক্ষিতে ভারতীয় সংবিধানের ২১ নং ধারার উল্লেখ করেছে পাটনা হাই কোর্ট।
দেশের অন্যান্য রাজ্যের থেকে মৃত্যু সংখ্যা রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে করোনাকালে পিছিয়েই ছিল বিহার। বিভিন্ন রাজ্য করোনায় মৃতের সংখ্যা কম করে দেখানো হচ্ছে, এই মর্মে যে অভিযোগ উঠেছিল সেখানে নাম ছিল বিহারেরও। যদিও আগামী দু'মাসের মধ্যে ডিজিটাল পোর্টালে যে বার্ষিক প্রতিবেদনগুলি আপলোড করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।