নিজস্ব প্রতিবেদন- মেরঠের বাসিন্দা তিনি। একেবারে ছাপোষা জীবন। দেশের মানুষ কিছুদিন আগে পর্যন্ত তাঁর সম্পর্কে বিস্তারিত জানা তো দূরের কথা, নামটুকুও শোনেনি। পবন জহ্লাদ নামটা হঠাত্ করেই আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসে। দিল্লির নির্ভয়ার দোষীদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে ছিলেন তিনি। চার জন আসামীকে একসঙ্গে ফাঁসি দিয়েছিলেন। চার জনের ফাঁসির প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন কয়েক মাস আগে থেকেই। সব বন্দোবস্ত তদারকি করেছিলেন। সেই পবন জহ্লাদের কাঁধে এবার নতুন দায়িত্ব। এবার একজন মহিলাকে ফাঁসিতে ঝোলানোর দায়িত্ব নিতে হবে তাঁকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

স্বাধীনতার পর আর কোনও মহিলার ফাঁসি এদেশে হয়নি। উত্তরপ্রদেশের আমরোহার শবনম নামের এক মহিলার ফাঁসি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। Mathura-তে ফাঁসি হতে পারে সেই মহিলার। মথুরা জেলের ফাঁসির ঘর অব্যবহৃত রয়েছে ১৫০ বছর ধরে। সেখানে ফাঁসিকাঠ থেকে শুরু করে যাবতীয় ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন পবন জহ্লাদ। নিজের পরিবারের সাতজন সদস্যকে নৃশংসভাবে খুন করেছিল শবনম। প্রায় ১২ বছর পর শবনমকে ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রাষ্ট্রপতির কাছে শাস্তি পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছিল শবনম। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ হয়েছে। 


আরও পড়ুন-  দেশে প্রথমবার এক মহিলার ফাঁসির প্রস্তুতি শুরু, অপরাধ শুনলে কেঁপে উঠবেন আপনিও


পবন এর আগে নির্ভয়ার চারজন দোষীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিলেন। এবার শবনমের ফাঁসির দায়িত্ব তাঁর কাঁধেই থাকবে। শবনমের শাস্তি যথাযথ, এমনই জানিয়েছেন পবন। তিনি আরও জানিয়েছেন, লখনউ থেকে শবনমের ডেথ ওয়ারেন্ট এলেই তিনি ফাঁসির চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করে দেবেন। দাদু কালু জহ্লাদের কাছে হাতেখড়ি পবনের। তিহাড় জেলে দুদিন প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন তিনি। বংশপরম্পরায় পবনরা ফাঁসুড়ে। পবনের দাদু কালু একটা সময় ইন্দিরা গান্ধীর হত্যাকারী সতবন্ত সিং,কুখ্যাত রঙ্গা বিরলাদের ফাঁসি দিয়েছিলেন। কিন্তু পবনই প্রথম একসঙ্গে চারজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিলেন। আর এবারও পবন প্রথম যিনি স্বাধীন ভারতে প্রথম কোনও মহিলা অপরাধীর ফাঁসি দেবেন।