নিজস্ব প্রতিবেদন: গরু ও মহিষ পাচারের সন্দেহে মুসলিমদের আরও একটা দেশভাগ দেখতে পারে ভারত। শনিবার এমন হুঁশিয়ারি দিলেন মুজফফর হুসেইন বেগ। তাঁর কথায়, ''গরু, মহিষের নামে মুসলিমদের হত্যা বন্ধ করা উচিত। নইলে এর পরিণাম ভাল হবে না। ১৯৪৭ সালে ইতিমধ্যেই দেশভাগ হয়ে দিয়েছে''।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজস্থানের আলওয়ারে গরু পাচারের অভিযোগে ২৮ বছরের রাকবার খানকে গণধোলাই দিয়ে হত্যা করে স্থানীয়রা। জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে কয়েকটি গরু নিয়ে যাচ্ছিলেন রাকবার। গতবছর একইরকমভাবে আলোয়ার জেলাতেই গণপিটুনিতে মারা গিয়েছিলেন পেহলু খান। 


গণধোলাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় মোদী সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধীরা। নরেন্দ্র মোদীকে সরাসরি নিশানা করেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। ২১ শে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বিজেপি-আরএসএস-কে নিশানা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তৃণমূল নেত্রী বলেছিলেন, হিন্দুত্বের নামে গোটা দেশজুড় অশান্তি ছড়াচ্ছে গেরুয়া শিবির। তালিবানি সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে তারা। মঙ্গলবার অধিবেশন শুরুর আগে সংসদ চত্বরে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা। তৃণমূল সংসদ দীনেশ ত্রিবেদী বলেছিলেন, ''সরকার জানে গণপিটুনি কেন হচ্ছে! সুপ্রিম কোর্টও বলেছে, গণতন্ত্রে গণপিটুনির কোনও স্থান নেই। কেউ নিজের হাতে আইন তুলে নিতে পারে না। এই প্রবণতা থামানো প্রয়োজন। প্রথমেই বলব, আমাদের সঙ্গে হিন্দুত্ব নিয়ে বিতর্কে বসুক ওরা। হিন্দু ও হিন্দুস্থান আসলে কী, তা বোঝা খুবই জরুরি''।


গরু পাচারকারী সন্দেহে দেশজুড়ে ক্রমবর্ধমান গণধোলাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগপ্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। প্রতিটি রাজ্যকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গণধোলাইয়ের মোকাবিলায় রাজ্যগুলিকে পদক্ষেপের কথা লোকসভার অধিবেশনে মনে করিয়ে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। 


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে যে পরিসংখ্যান মিলেছে তাতে স্পষ্ট দেশজুড়ে গণধোলাইয়ের মৃত্যুর ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সালের ৩ মার্চ পর্যন্ত ৯টি রাজ্যে ৪০টি গণধোলাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। মৃত্যু হয়েছে ৪৫ জনের। গত ১৭ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট গণধোলাইয়ের ঘটনায় উদ্বেগপ্রকাশ করে। উন্মত্ত জনতাকে রুখতে কেন্দ্রকে কড়া আইন আনার পরামর্শ দেয় শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, কড়া আইন আনা হলে গণধোলাইয়ের মতো ঘটনার মোকাবিলা করা সম্ভব।সেই নির্দেশের পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিরোধীদের জানান, একটি কমিটি ইতিমধ্যেই গঠন করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক আইনের রূপরেখা তৈরি করবে তারা। সরকার গণিপটুনির ঘটনায় শুধু উদ্বিগ্নই নয়, বিষয়টিকে ‌যথেষ্ট গুরুত্বও দিচ্ছে''।


আরও পড়ুন- ২০১৯ সালে মোদী সরকারের ভবিতব্য বুঝে বেসুরো 'হাওয়া মোরগ' রামবিলাসের এলজেপি?