আপনার জন্য ৫০০ ট্রেন চলে গেলেও পরোয়া নেই তাদের, সিধুর স্ত্রীর উদ্দেশে বার্তা উদ্যোক্তাদের
বিধায়ক ‘আউট অব স্টেশন’ থাকায় তাঁর স্ত্রী জনসংযোগের কাজে ধোবিঘাটের জোড়া ফলক এলাকার রাবণ দহন অনুষ্ঠানে ৭টার পর উপস্থিত হয়েছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মঞ্চের সামনে উড়ছে ড্রোন। উপস্থিত কয়েক হাজার মানুষ। প্রধান অতিথির আসার অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা। সন্ধে ৬টা ১৫ মিনিটে রাবণ দহনের কথা থাকলেও অতিথি সময়ে না আসায় কারওর কারওর ধৈর্যের বাঁধও ভাঙছে। এ দিন ওই মঞ্চের প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক নভোজ্যোত্ সিং সিধুর স্ত্রী নভোজ্যোত্ কাউর সিধু। বিধায়ক ‘আউট অব স্টেশন’ থাকায় তাঁর স্ত্রী জনসংযোগের কাজে ধোবিঘাটের জোড়া ফলক এলাকার রাবণ দহন অনুষ্ঠানে ৭টার পর উপস্থিত হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন- অমৃতসর ট্রেন দুর্ঘটনা : প্রত্যক্ষদর্শীদের জবানবন্দিতে উঠে আসছে হাড় হিম করা তথ্য
অমৃতসরের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রথমেই বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক নভোজ্যোত্ কাউর সিধু। দুর্ঘটনার সময় কেন তিনি ছিলেন না এই নিয়ে প্রশ্নও ওঠে। কেউ আবার অভিযোগ করেন, একটু আগে পৌঁছলে, এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা এড়ানো যেত। তবে, নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসায়। সেই ভিডিয়ো-এ শোনা গিয়েছে, সিধুর স্ত্রীর উদ্দেশে এক ব্যক্তি মাইকে বলছেন, “ম্যাডাম (নভোজ্যোত্ কাউর সিধু) তাকিয়ে দেখুন। লাইনের উপর দিয়ে ৫০০ ট্রেন চলে গেলেও তাদের পরোয়া নেই। এই মুহূর্তে রেল লাইনে দাঁড়িয়ে ৫ হাজার মানুষ।”
আরও পড়ুন- অমৃতসর ট্রেন দুর্ঘটনা : লিখিত বয়ান দিলেন ড্রাইভার অরবিন্দ কুমার, উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, উদ্যোক্তরা ভাল করেই জানতেন রেল লাইনের উপরে বসে রাবণ দহন দেখবে বিশাল জনতা। দুর্ঘটনার প্রবল সম্ভবনা থাকা সত্ত্বেও, কেন রেল কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেনি। সিধুর স্ত্রী দাবি করেছেন, মাইকে ঘোষণা করা হয়েছে তাঁদের লাইন থেকে সরে নিরাপদ জায়গায় চলে আসতে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অনুরোধে জনতা কর্ণপাত করেনি।
দুর্ঘটনার স্থলে সিধুর স্ত্রীকে দেখা যায়নি। এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা। সিধুর স্ত্রী দাবি করেন, বাড়ির ফেরার পথে দুর্ঘটনার খবর পেয়েছেন তিনি। এর পর বিভিন্ন হাসপাতালে দৌড়ে গিয়েছেন। আর স্থানীয় বিধায়ক নভোজ্যোত্ সিং সিধুর দেখা মিলল প্রায় ১৬ ঘণ্টার পর। সাফাই দেন, বেঙ্গালুরুর পথে খবর পাই। এরপর দ্রুত বিমান ধরে দিল্লি পৌঁছই। প্লিজ, দেরি হওয়া নিয়ে রাজনীতি করবেন না।