ওয়েব ডেস্ক : "গো-ভক্তির নামে মানুষ খুন, কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। এই ধরনের হিংসা মহাত্মা গান্ধী কখনওই মেনে নিতেন না", গুজরাটের আমেদাবাদে সবরমতী আশ্রমের শতবর্ষ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই কথাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি আরও বলেন, গো-রক্ষা নিয়ে সবচেয়ে বেশি সরব ছিলেন মহাত্মা গান্ধী এবং আচার্য বিনোবা ভাবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একইসঙ্গে আজকের অনুষ্ঠানে, আইনকে নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার জন্য সতর্কবার্তাও শোনা যায় প্রধানমন্ত্রীর মুখে। তিনি বলেন, "আমরা অহিংস ভূমিতে বাস করি। এটা মহাত্মা গান্ধীর ভূমি। আমরা কী করে সেটা ভুলে যেতে পারি?" বর্তমান বিশ্ব যে চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করছে, অনেকদিন আগেই মহাত্মা গান্ধী সেই ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বলেও আজ মন্তব্য করেন মোদী। পাশাপাশি দেশের সব মানুষকে সবরমতী আশ্রমে একবার ঘুরতে আসার জন্যও আহ্বান জানান তিনি।



সম্প্রতি গো-রক্ষকদের হাতে একের পর এক খুন, তাণ্ডবের ঘটনায় মুখ পুড়েছে সরকারের। কয়েকদিন আগেই ব্যাগে করে গো-মাংস নিয়ে যাওয়ার 'অপরাধে' খুনের পর চলন্ত ট্রেন থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয় ১৬ বছরের কিশোর জুনেইদ খানকে। ইদের আগে বাজার করে ভাই ও আত্মীয়দের সঙ্গে দিল্লি থেকে হরিয়ানায় ফিরছিল জুনেইদ। তখনই তাদের উপর চড়াও হয় জনা কুড়ির একটি দল। তারপরই ঘটে নৃশংস এই ঘটনাটি।


এর আগে এপ্রিলে, রাজস্থানে ৫৫ বছরের পেহলু খানকেও পিটিয়ে মারে একদল 'স্বঘোষিত গো-রক্ষক'। নিজের ডেয়ারি ফার্মের জন্য গরু নিয়ে যাচ্ছিলেন পেহলু খান। আচমকাই, তিনি 'গরু পাচার' করছেন এই অভিযোগে তাঁর উপর চড়াও হয় 'স্বঘোষিত গো-রক্ষকে'র দল। চলে বেধড়ক মারধর। পরে মৃত্যু হয় পেহলু খানের।



একের পর এক 'স্বঘোষিত গোরক্ষকদের' তাণ্ডবের পরও নিশ্চুপ ছিলেন মোদী। বিরোধীরা বার বার প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবি করলেও, তিনি মুখ খোলেননি। আজ গো-রক্ষা ইস্যুতে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং হুঁশিয়ার করলেন 'স্বঘোষিত গোরক্ষকদের'।


আরও পড়ুন, ভারতে যোগাযোগ ব্যাবস্থায় উন্নতি ঘটাতে মহাকাশে পাড়ি দিল GSAT-17