নিজস্ব প্রতিবেদন - ২৩ মার্চ থেকে লকডাউন। আড়াই মাসের বেশি সময় ধরে মানুষ ঘরবন্দি। এখন অবশ্য কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে। গৃহবন্দি মানুষ অনেক রান্নাই শিখেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেসব নতুন নতুন রেসিপি শেয়ার করেছেন অনেকে। ব্যস্ত জীবনে কিছুটা সময় নিজের সঙ্গে, পরিবারের কাছে থাকার অবকাশ দিয়েছে করোনা। খারাপ সময়ের মধ্যে ভাল বলতে এটুকুই। অফিস কাছারি বন্ধ। বাড়িতে থাকা ছাড়া উপায় ছিল না। আপতকালীন কাজের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের অবশ্য লকডাউনেও ছুটতে হয়েছে। তবে দেশের বেশিরভাগ মানুষ এই সময় গৃহবন্দি ছিলেন। বই পড়া, সিনেমা দেখা, পরিবারের লোকজনের সঙ্গে গল্প গুজব, রান্না বান্না। এই করেই অনেক কষ্টে সময় কাটিয়েছে মানুষ। তবে এই কঠিন সময় মানুষের প্রিয় হয়ে উঠেছে ইনস্ট্যান্ট নুডলস ম্যাগি। নেসলে জানিয়েছে, লকডাউন পিরিয়ডে ম্যাগির বিক্রি আগের থেকে ২৫ শতাংশ বেড়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আধুনিক সময় অনেক নতুন স্বাদের বিস্কুট এসেছে বাজারে। মিষ্টি, নোনতা হরেক স্বাদের সেসব বিস্কুটের সঙ্গে এঁটে উঠছিল না পারলে parle g. ফলে লোকসানে চলছিল সংস্থা। লকডাউনে কী যে হল! মানুষ হঠাৎ করে পারলে জির প্রতি নতুন করে টান অনুভব করল। আগের বিক্রির সব রেকর্ড ভেঙে দিল পারলে জি। অন্য বিস্কুটের বিক্রিও বেড়েছে লকডাউনে। কিন্তু পারলে জি যেন নতুন করে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে।


আরও পড়ুন- একশো বছর পিছিয়ে যাঁরা! অ্যালকোহলযুক্ত স্যানিটাইজার বয়কটের ডাক দিল মসজিদের মওলানা


নেসলে কোম্পানির বার্ষিক টার্ন ওভার  ১২ হাজার কোটি টাকার। নেসলে ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুরেশ নারায়ন বলেছেন, কোম্পানির পাঁচটি কারখানায় জোর কদমে ম্যাগির উৎপাদন করা হয়েছে। স্টক শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় অনেক মানুষ বেশি সংখ্যায় ম্যাগির প্যাকেট তুলে রেখেছিলেন। তাছাড়া লকডাউনে সব রেস্তোরাঁ বন্ধ ছিল। ফলে বাড়িতে রান্না করা ছাড়া উপায় ছিল না। আর কম সময়ে পেট ভর্তি খাবারের নিরিখে ম্যাগির জুড়ি মেলা ভার। তাই এই সময় ম্যাগির চাহিদা ছিল তুঙ্গে।