নিজস্ব প্রতিবেদন: শেষমেশ চাপে পড়ে নেতাজির মৃত্যু নিয়ে টুইট প্রত্যাহার করল কেন্দ্রীয় সংস্থা প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো বা পিআইবি। গতকাল সরকারি ভাবে সুভাষচন্দ্র বসুর ‘মৃত্যুদিন’ ঘোষণা করে পিআইবি। যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয় বিভিন্ন মহলে। এমনকী পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি নেতারাও এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আরএসএস নেতারাও নেতাজির মৃত্যুর দিন নিয়ে সরব হন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


উল্লেখ্য, নেতাজির একটি ছবি ও তাঁর উক্তি ‘তোমরা আমাকে রক্ত দাও আমি তোমায় স্বাধীনতা দেব’ পোস্ট করে ১৮ অগস্টকে মৃত্যুদিন হিসাবে ঘোষণা করা হয়। প্রসঙ্গত ১৯৪৫ সালের ওই দিনেই তাইহকু বিমান দুর্ঘটনার মুখে পড়েন সুভাষচন্দ্র বসু। মনে করা হয়, ওই বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তবে, এখনও পর্যন্ত কোনও জোরালো প্রমাণ মেলেনি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করেন, বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজি মারা যাননি। যা নিয়ে পরবর্তীকালে একাধিক কমিশনও বসে।


আরও পড়ুন- গাড়ি নিয়ে ফুটপাথে উঠে পড়লেন মদ্যপ চালক, ধাক্কায় ছিটকে গেলেন পথচারীরা!


এই ছবি সামনে আসতেই জোর চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। দেশজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পিআইবি-র এই টুইট প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে নেতাজি পরিবারের সদস্য এবং বিজেপি নেতা চন্দ্র বসু মন্তব্য করেছেন, "কোথাও একটা ভুল হচ্ছে। কোথাও কোনও ত্রুটি থেকে যাচ্ছে।" উল্লেখ্য, এদিন সকাল থেকে আজকের দিনটিকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর 'পুণ্যতিথি' হিসেবে উল্লেখ করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে দেখা যায় অনেক বিজেপি নেতাকে। শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয় বর্গীয়, সম্বিত পাত্র।



অন্যদিকে, আজ সকালে নেতাজির অন্তর্ধান নিয়ে আজ টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। নেতাজির বিষয়ে জানার অধিকার সকল দেশবাসীর রয়েছে বলে টুইটে লেখেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, "আজকের দিনেই ১৯৪৫ সালে নেতাজী তাইওয়ানের তাইহুকু বিমানবন্দর থেকে নিখোঁজ হন। আজও জানি না এরপর কী হয়েছে। দেশমাতৃকার এই বীর সন্তানের বিষয়ে জানার অধিকার সকল দেশবাসীর আছে।"