ওয়েব ডেস্ক: সন্ত্রাসের চোখ রাঙানির মধ্যেই অমরনাথ পৌঁছল পুণ্যার্থীদের প্রথম দল। পীর পঞ্জাল পর্বতমালার কোলে জয়ধ্বনি উঠল হর হর মহাদেও। প্রথম দিন পুজো দিলেন জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল। তাঁকে স্বাগত জানালেন হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা। তুষারতীর্থ দেখিয়ে দিল, দেশ জুড়ে হেট পলিটিক্সের মধ্যেও, সম্প্রীতির সোনালি ঐতিহ্য আগলে রেখেছে সে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তীর্থযাত্রা না যুদ্ধযাত্রা, গুলিয়ে যেতে পারে! পায়ে পায়ে বিপদ। দুর্গম প্রকৃতি যত না মাথাব্যথা, তার চেয়েও বড় দুশ্চিন্তা, এই বুঝি ছুটে এল জঙ্গি বুলেট! তবু পীর পঞ্জাল পর্বতমালার কোলে এই গুহা প্রতি বছর পুণ্যার্থীদের ডাকে। ৩ হাজার ৩৮৮ মিটার উঁচুতে তুষার লিঙ্গের টানে এবারও পৌছে গেছেন বহু মানুষ। প্রথম ব্যাচেই সংখ্যাটা প্রায় আড়াই হাজার। সামনের সারিতে জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল এনএন ভোরা। পূজারী আর মৌলবী, দুজনে মিলে স্বাগত জানালেন তাঁকে।



লাগাতার বিক্ষোভে জ্বলছে দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ। এমন পরিস্থিতিতে পহেলগাঁও রুটে যাত্রা নিয়ে উদ্বেগে ছিল প্রশাসন। চিন্তা ছিল বালতাল রুট নিয়েও। দুটি রুটেই জম্মু-কাশ্মীর পুলিসের পাশাপাশি ৩০ হাজার আধাসেনা মোতায়েন করা হয়। ১৬ বছরে অমরনাথ যাত্রায় ৫০ জনের বেশি তীর্থযাত্রী জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। তারপরেও তুষারতীর্থে আবেগকে দমাতে পারেনি বারুদ।


পৌরাণিক বিশ্বাস, অমরনাথের গিরিগুহাতেই পার্বতীকে জীবন রহস্য বুঝিয়েছিলেন মহাদেব। বলেছিলেন অমরত্বের কথা। গোরক্ষার নামে দেশজুড়ে তাণ্ডব চলতে পারে। দক্ষিণ কাশ্মীরে রক্ত ঝরাতে পারে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। অমরনাথ জেগে থাকে উত্তর আকাশে সম্প্রীতির ধ্রুবতারা হয়ে। ছড়ি মুবারক থেকে গুহামন্দিরে প্রবেশ - হিন্দুর তীর্থপথে তদারকি করেন মুসলিমরা। অমরনাথ শিখিয়ে দেয়, বিভেদেই মৃত্যু, ঐক্যে অমরত্ব। (আরও পড়ুন- রাষ্ট্রপুঞ্জের কর তহবিলে ১ লক্ষ মার্কিন ডলার অনুদান দিয়ে ইতিহাসে ভারত)