নিজস্ব প্রতিবেদন: এনআরসি-সিএএ এর বিরোধীদের বৈঠক যে ভাবে ফিকে হওয়ার কথা ছিল সেটাই হয়েছে। দিল্লিতে কংগ্রেসের নেতৃত্বে ডাকা ওই বৈঠকে গরহাজির ছিল তৃণমূল কংগ্রেস, বসপা, আপ ও শিবসেনা।  উপস্থিত ছিল মাত্র ২০ বিরোধী দল।  একপ্রকার ফাঁকা হাটেই প্রধানমন্ত্রীকে দুষলেন রাহুল, সোনিয়া।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-স্কার্ফে ঢাকা মুখ, জেএনইউতে হামলাকারী ছাত্রীকে চিহ্নিত করে ফেলল দিল্লি পুলিস


বৈঠকে সোনিয়া গান্ধী বলেন, সীমাহীন অত্যাচার চালাচ্ছে সরকার।  ধর্মের নামে লড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে দেশের মানুষকে। এনআরসি ও সিএএ নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী ও অমিত শাহ।



জেএনইউতে ছাত্রদের ওপরে হামলার অভিযোগও তোলেন সোনিয়া।  বলেন, গোটা দেশের মানুষ দেখেছে কীভাবে জেএনইউতে হামলা চালিয়েছে বিজেপি মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীরা। হামলা হয়েছে জামিয়া মিলিয়া, আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় ও বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে।


অন্যদিকে, দেশের ধুঁকতে থাকা অর্থনীতির জন্য প্রধানমন্ত্রীকেই দায়ী করেন রাহুল গান্ধী।  তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী সাহস থাকে তো বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ছাত্রদের বলুন দেশের অর্থনীতির অবস্থা কেন এরকম। তারা কাজ চায়। জানি প্রধানমন্ত্রীর সেই সাহস নেই।


আরও পড়ুন-এপ্রিলেই ভোট কলকাতা পুরসভার, সংরক্ষণের আওতায় অর্ধেক আসন!


উল্লেখ্য, এনআরসি ও সিএএ-র বিরুদ্ধে বৈঠক ডেকে এক প্রকার ধাক্কাই খেল বিরোধীরা। আগ্রহ দেখালেও গত ৮ তারিখ বনধে বিরোধীদের হাঙ্গামার অভিযোগ তুলে বৈঠকে যোগ দেননি মমতা। বসপা জানিয়েছে, বিভিন্ন রাজ্যে তাদের দল ভাঙাচ্ছে কংগ্রেস। তাই কংগ্রেসের সঙ্গে তার এনআরসি বিরোধিতায় নেই। অন্যদিকে, আপ ও শিবসেনার বক্তব্য তাদের ডাকাই হয়নি বৈঠকে। ফলে বিরোধীদের বৈঠক বলা হলেও আজকের বৈঠকে ছিল না কোনও শক্তিশালী পক্ষ।


এদিকে, বিরোধীদের বৈঠক নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কার প্রসাদ। সংবাদ মাধ্যমে তিনি বলেন, বিরোধী ঐক্যের হাড়পাঁজরা বেরিয়ে পড়েছে। বৈঠকে নেই সপা, টিএমসি, আপ ও শিবসেনা।